নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, বৈশি^ক মহামারী ভয়ঙ্কর করোনা সংকট মোকাবেলায় আমাদেরকে সকল সংকীর্ণতাকে পিছনে ফেলে মানবিক ও সচেতন দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কাজ করতে হবে। করোনাকালে শিশুদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। অধিক হারে যত্নবান হতে হবে। শিশুদের সার্বক্ষণিক চোখে চোখে রাখতে হবে। তারা যেন বাইরে বের না হয় এবং তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুষ্টিকর শিশুখাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জ শিশু একাডেমির প্রাক-প্রাথমিক প্রশিক্ষণার্থী এবং সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদানকালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় শিশু একাডেমির পক্ষে সহায়তা সামগ্রী গ্রহণ করেন শিশু একাডেমির পরিচালক দেওয়ান হাফিজুর রহমান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর জাকির হোসেন, ফরহাদ হোসেন আবির, আব্দুল মান্নান খান দর্পন, নার্গিস আক্তার প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বিপর্যস্ত বিশে^র মানবসমাজ। কোন মানুষই এখন করোনা আক্রান্তের আশঙ্কামুক্ত নয়। করোনা ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। অতিমাত্রার সংক্রামক এই ভাইরাসের প্রতিষেধক না থাকায় কেবলমাত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এখন পর্যন্ত একমাত্র পন্থা।
তিনি বলেন, ছোঁয়াচে মরণব্যাধি করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি সব বয়সীদের মধ্যেই বিদ্যমান। বিশেষত বেশি বয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে করোনার ঝুঁকি বেশি। তাই করোনাকালে শিশুদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। অধিক হারে যত্নবান হতে হবে। শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। শিশুকে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বারবার হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশি বিষয়ক সতর্কতা ও নিয়মকানুন বোঝাতে হবে। শিশুর রোগ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিশুকে পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়াতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার মধ্য দিয়ে সুস্থ থাকতে হবে।