নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে হলে আমাদের নারীসমাজকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণের একটি সুন্দর সমন্বয় সাধন করা।
গতকাল মঙ্গলবার ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীমতি শিলু রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদুল হাসান তুহিন, সাংবাদিক তানভীর হাসান, অ্যাড. নাসিমা আক্তার, মোর্শেদা আক্তার লিপি, শামীমা আক্তার, হামিদা খাতুন, নীলুফা আক্তার, হামিদা খাতুন, নীলুফা আক্তার পাঁপিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসমিন ফেরদৌস, ডা. ফারজাহান আফরোজ প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, বাঙালি জাতির সকল আন্দোলন-সংগ্রামে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমানভাবে অংশগ্রহণ করেছে। বৃটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, ৬-দফা ভিত্তিক আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন, অসহযোগ আন্দোলন অতঃপর ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এদেশের নারীসমাজ। মহান মুক্তিযুদ্ধে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা রাইফেল হাতে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, সন্তান ও স্বামীর হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদের মুক্তিযুদ্ধে পাঠানো, যুদ্ধের খবর সংগ্রহসহ মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনকে সহজতর করতে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলেছিল বাংলার নারীসমাজ।
তিনি বলেন, পরম করুণাময় মহান সৃষ্টিকর্তা নারী-পুরুষ উভয়কেই মানবিক গুণাবলী, বুদ্ধিমত্তা ও মেধা দান করেছেনÑ দক্ষতা অর্জনের সকল ধরনের যোগ্যতা দান করেছেন। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশিরভাগই নারী। একটি জাতির অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অচল করে রাখা আর এক পায়ে হাঁটার চেষ্টা করা একই কথা। তাই নারীসমাজকে তার বুদ্ধিমত্তা, মেধা ও যোগ্যতা প্রমাণের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে হলে আমাদের নারীসমাজকে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণের একটি সুন্দর সমন্বয় সাধন করা। আমি মনে করি, আমাদের সমগ্র মানবসম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে আমরাই হবো আগামী পৃথিবীর সমৃদ্ধ অর্থনীতির একটি দেশ।