নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সামাজিক অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিংকে আরও কার্যকর ও গণমুখী করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে পুলিশ ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২ উপলক্ষে এক র্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ সুপার মার্কেট থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। এরপর জেলা পুলিশ লাইনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ারুল, মুন্সীগঞ্জ কমিউনিটি পুলিশের আহ্বায়ক শ্রী প্রবীর কুমার গাঙ্গুলী, সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মনজুরুল আলম, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মোঃ ফয়সাল বিপ্লব প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, কমিউনিটি পুলিশ হলো সমাজমুখী পুলিশী কার্যক্রম। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণকে পুলিশের কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় জনগণের প্রত্যাশা ও মতামতের আলোকে পুলিশি সেবা নিশ্চিত করা যায়। পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় এবং জনগণ পুলিশি কাজের প্রক্রিয়া এবং পুলিশের সীমাবদ্ধতা জানতে পারে। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা এবং শ্রদ্ধা বৃদ্ধি পায়।
তিনি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ, কুসংস্কারসহ সকল প্রকার সামাজিক অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিংকে আরও কার্যকর ও গণমুখী করতে হবে। কারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সামাজিক শৃঙ্খলা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আমাদের সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে সমাজ জীবনে সুশৃঙ্খলতা ও শান্তি বিরাজমান থাকে।
তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং এখনও একটি উদীয়মান ও ক্রমবিকাশশীল পুলিশিং দর্শন। এটা হচ্ছে সেই প্রশাসনিক নীতি ও কৌশল যা পুলিশকে আগাম কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক অপরাধের উৎসমূলের পরিবর্তন ঘটিয়ে কার্যকরভাবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, জনগণের অপরাধ ভীতি কমানো, জীবনযাত্রার গুণগত পরিবর্তন এবং উন্নতমানের পুলিশি সেবা নিশ্চিত করে।