নিজস্ব প্রতিবেদক
সালিশে জরিমানার টাকা ভাগাভাগি এমনকি সেই টাকায় মদপানের উৎসবও হয়ে থাকে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়ন, চিত্রকোট ইউনিয়নের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ধর্ষণের শিকার হলে তাদের পঞ্চায়েত কমিটি বা মন্দির কমিটির নেতারাই বিচার সালিশ করে থাকে। ভিকটিমদের অর্থনীতি চিন্তা করে জরিমানা করা হয়। সেই টাকা মদপানের কাজে ব্যয় করে বা ভাগাভাগিও করে থাকেন বলে জানিয়েছেন শেখরনগর ইউপি ৪, ৫, ৬ মহিলা সদস্য ভালবাসা রাজবংশী, চিত্রকোট ইউপি ৫নং সদস্য তাইজুল ইসলাম ও এলাকাবাসী। তারা জানিয়েছেন, এরকম আইন তাদের মাঝে চলে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। কেউ কথা বলতে চাইলে তাদেরকে একঘরে করে রাখে। এমনকি মন্দিরে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। মন্দিরের প্রসাদও দেওয়া বন্ধ করে দেয় বলে জানা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, চিত্রকোট ইউনিয়নের মরিচা গ্রামের এক তরুণীর সাথে ৩ তিন বছর প্রেমের সম্পর্ক করে শেখরনগর ইউনিয়নের প্রভাত চন্দ্র দাসের ছেলে মন্তস দাস। তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে একাধিকবার। গত ১৬ জুলাই মনিপড়া পঞ্চায়েত বাড়িতে সালিশ বসে প্রেমিক মন্তসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং তরুণী ও তার স্বজনদেরকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখেন সালিশের নেতারা। জরিমানার টাকা তরুণীকে না দিয়ে সালিশের নেতাদের কাছেই রেখে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তরুণী ও তার স্বজনরা। পরে তরুণী গত ২৫ জুলাই সিরাজদিখান থানায় একটি ধর্ষণ ও মারধরের মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে শেখরনগর কালী মন্দিরে সভাপতি রতন ও পঞ্চায়েতের সভাপতির মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি তারা। এ বিষয়ে শেখরনগর তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ কাজী নাছির উদ্দিন জানান, ধর্ষণ ও মারধরের মামলার আসামী পলাতক আছে। তাদেরকে আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।