নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। শুরুতে র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমদকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হলেও বর্তমানে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছেন র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামকে। শুক্রবার দুপুরে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা খাইরুল ইসলামকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে সিনহা হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে রিমান্ড সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পুলিশের চার সদস্যসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকালে কক্সবাজার কারাগার থেকে হেফাজতে নিয়ে গেছে র্যাব। তবে মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বহিষ্কৃত টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালকে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগে গতকাল সকালে র্যাবের একদল সদস্য কক্সবাজার জেলা কারাগারে গিয়েছিলেন। কিন্তু আসামিদের না নিয়ে ফিরে যান। গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর অব. সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় মেজর সিনহার বোনের করা মামলায় বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং ২ নম্বর আসামি করা হয় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। তারা ছাড়া আরও সাতজনকে এজহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। আলোচিত এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা। মামলার পর ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এসব মামলারই তদন্তভার এখন র্যাবের হাতে।