নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন ( পিবিআই ) মুন্সীগঞ্জ শাখার দেয়া একটি হত্যা মামলার প্রতিবেদনে হতাশা প্রকাশ করেছেন সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আইয়ুব খাঁন ও তার পরিবারের সদস্যরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ বাজার নিমতলা- সিরাজদিখান সড়কে মানববন্ধন করেছে আইয়ূব খানের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। বিকাল সাড়ে ৪ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত ৩০ মিনিট তারা রাস্তায় এই মানববন্ধন করেন। এ সময় তারা জানান, পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বিস্মিত হয়েছেন এই এলাকার বেশির ভাগ জনগন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল বেলা তিনটার দিকে উত্তর বাসাইল গ্রামে গাছের তাল পারাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি নুরু মিয়ার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয় মজিবর রহমান খাঁন। সেই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় মজিবরের ছেলে আরিফ হোসেন বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে নুরু মিয়াসহ অন্যান্যদের মাঝে হুকুমের আসামী করা হয় ইউপি সদস্য আইয়ুব খাঁনকে। মামলায় বলা হয় আইয়ুব খাঁন সামনে থেকে এই হত্যার হুকুম দিলে নুর মোহাম্মদ নুরু এবং পাকিজ খাঁন পাখি ধারালো ছোড়া দিয়ে উপুর্যপুরি ঘাড়ে,কাঁধে ও বুকে আঘাত করে হত্যা করেন। এই তিন জনকে আসামী করে মামলাটি রুজু হলে, সে মামলার তদন্ত ভার পায় সংশ্লিষ্ট থানার এস আই সুমন মিয়া। মামলার তদন্তকারী এস আই সুমন মিয়া মামলাটির তদন্ত করে অভিযুক্ত আসামী পাকিজ খাঁন পাখি ও ইউপি মেম্বার আইয়ুব খাঁনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাননি। মামলায় নুরু মিয়াকে প্রকৃত দোষী সাব্যস্ত করে, পাখি ও আইয়ুবকে অব্যাহতি দিয়ে ২৬ জানুয়ারী ২০১৮ তারিখে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে বাদী সে প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিলে, মামলার পুন:তদন্তের দায়িত্ব পান জেলা গোয়েন্দা শাখা। জেলা গোয়েন্দা শাখার এস আই আব্দুল সালামের উপর মামলার অধিকতর তদন্তের ভার প্রদান করেন ডিবি কার্যালয়। সে তদন্তেও ১নং আসামী ব্যতীত এই ঘটনায় আর কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় নাই। এজহার নামীয় বাকি আসামীদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করে ২১ জুন ২০১৮ সালে অভিযোগ পত্র প্রদান করেন গোয়েন্দা শাখার এস আই আব্দুল সালাম। গোয়েন্দা পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের উপর বাদী পুনরায় নারাজি প্রদান করিলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআই মুন্সীগঞ্জ জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন। পিবিআই মুন্সীগঞ্জ শাখার এস আই মনিরুজ্জামান তদন্তভার গ্রহণ করে ৭ এপ্রিল ২০১৯ সালে আদালতে একটি অভিযোগ পত্র প্রদান করেন। যেখানে নুরু মিয়ার সাথে হুকুমের আসামী আইয়ুব খাঁনকে রেখে সেই অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। এই ঘটনায় আইয়ুব খাঁন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।