নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইমারত নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের মৃত কবির উদ্দিনের ছেলে মাহতাব উদ্দিন গং আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইমারত নির্মাণের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন টিপু বাদী হয়ে মো. মাহতাব উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিজ্ঞ জজ আদালতের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
নিজাম উদ্দিন জানান, ১৯৬৭ সালে আমার বাবা, মাহতাব উদ্দিনের বাবার নিকট থেকে ৫.৬৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে। জমিটি মধুপুর মৌজার সি,এস খতিয়ান নং ৪৬১, এস,এ খতিয়ান নং ৩৬৫, আর এস খতিয়ান নং ৩১২, ভূমি এস,এস/ আর,এ দাগ নং ৩১৭, আর,এস দাগ নং ১২০, রকম বাড়ি। তার বাবা ও আমার বাবা মৃত্যুবরণ করলেও দীর্ঘদিনে আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিচ্ছে না। আমি দেওয়ানী মামলা করি যার মিস আপিল নং ০৬/১৭। এছাড়া জেলা বিজ্ঞ জজ আদালতে করোনার কারণে ভার্চ্যুয়াল মোকদ্দমা হয় যার নং ০১/২০২০। বিজ্ঞ জজ আদালত থেকে গত ১৪ এপ্রিল অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নোটিশ করা হয়। নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ রয়েছে, নালিশী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে মিস আপিল মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পক্ষগণ স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদানপূর্বক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নিষ্পত্তি করা হলো। মো. মাহতাব উদ্দিন এবং তার ভাই মো. ইখতিয়ার উদ্দিন, মো. শিহাব উদ্দিন ও মো. মঈন উদ্দিন তারা কোন কিছুই মানে না। আমার ছোট ভাই সালাউদ্দিন আহমেদ রানা বাদী হয়ে বিগত ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসের ৯ তারিখে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যার নং ১৯২/১৫। বর্তমানে উক্ত মামলাটি জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন আছে। এরপর ১৫ সালে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একটি মীমাংসা করেছিল। সেখানে উপস্থিত সালিশগণসহ বিবাদীদের স্বাক্ষর আছে। সবকিছু মেনে নিয়ে পরে আর তাদের পাত্তা পাওয়া যায় না। এরপর আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ১৭ সালের ফেব্রুয়ারীর ২ তারিখে তারা বাড়ি নির্মাণে কাজ শুরু করে। আমরা বাধা দেই। বর্তমানে আবার করোনার পরিস্থিতিতে আদালত বন্ধ থাকার সুযোগে এ বছরের মে মাসের ৯ তারিখে আবার ইমারত নির্মাণের বাকি কাজ শুরু করেছে। খবর পেয়ে আমার ভাই ১৪ ফেব্রুয়ারী থানায় সাধারণ ডায়রী করে। গত ৩ দিন আগে শুক্রবার আমার ভাই তাদের বিরুদ্ধে আরেকটি সাধারণ ডাইরী করে। এরপর পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ করলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবার কাজ শুরু করে দেয়। এ বিষয়ে মাহতাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া না গেলে তার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করলে সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, দু’পক্ষের মামলা আদালতে চলমান আছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। পুলিশ চলে আসার পর যদি আবার কাজ শুরু করে, তাহলে প্রতিদিন তো আর পুলিশ পাঠানো যায় না। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে আদালতে ভায়োলেশন মামলা করতে পারে। আদালত যদি আমাদের কোন নির্দেশনা দেয় সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিবো।