নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজদিখানে আবু বক্কর টাওয়ারের ৫ তলার ফ্ল্যাটে দেহ ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজারে এই আবু বক্কর টাওয়ার। এর মালিক আবু বক্কর (৪০) উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর বয়রাগাদি গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি জানাজানি হলে গত সোমবার দিবাগত রাতে ৫ তলার বাম সাইডের ভাড়াটিয়া মুক্তা বেগম (৩২) এর ফ্ল্যাটে স্থানীয়রা গিয়ে দুইজন পুরুষ ও সাথী (২২) নামের এক যুবতীকে পায়। পরে সুযোগ বুঝে পুরুষ খদ্দের দু’জন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ভাড়াটিয়া মুক্তা বেগম উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সের নারীদের এনে দেহ ব্যবসার কাজ করান বলে জানা যায়। দীর্ঘদিন ধরে এই মহিলা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এ সমস্ত অপকর্ম করছেন। বাড়ির মালিক আবু বক্করের সাথে মহিলার সম্পর্ক ভালো থাকায় সে কোন প্রকার বাঁধা দেয়নাই। বর্তমানে বিষয়টি জানাজানি হলে মহিলাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেছে আবু বক্কর। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে নিউজ না করার জন্য সাংবাদিকদের টাকার অফার করেন এই আবু বক্কর। স্থানীয় অনেকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা করলেও বাড়ির কেউ জানেনা, এটা কি করে সম্ভব ?। বাড়ির ম্যানেজার আবু বক্করের বোন। এলাকার মানুষ আটক করার পর আবু বক্কর জানতে পারলো? এক বছর ধরে এমন ঘটনা এই বিল্ডিংয়ে ঘটছে এমনটাই আমরা শুনেছি। এখন প্রমাণ পাওয়া গেছে। তালতলা বাজারে কাচাঁমালের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, দেহ ব্যবসায়ী মুক্তা বেগম প্রথমে তার নাম নিপা বেগম বলে এবং খদ্দেরদের তার ভাই বলে। সে আরো বলে, আমি এক উকিলের মুহুরি। আমার কাছে তারা কাজ নিয়ে এসেছে। শেষে তার দেহ ব্যবসার কথা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী গোড়াপীপাড়া গ্রামের বাবুল আহমেদ বলেন, আমি বাড়ির মালিক আবু বক্করকে অনেকদিন বিষয়টি জানিয়েছি। সে এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। মালখানগর ইউপি সদস্য কোরবান আলী বলেন, আমি গত সোমবার রাতে ঘটনাটি শুনেছি এ ফ্লাটে ঘটেছে। এলাকাবাসী হাতেনাতে তাদেরকে ধরেছে। এর বেশি আমি জানি না। এ ব্যাপারে আবু বক্করের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো নিজে এই বাড়িতে থাকিনা, আর আমি এই ব্যবসার সাথে জড়িতনা। আমার এই বাড়ির দায়িত্বে আমার বড় বোন রয়েছে, সে এই বাড়ি দেখাশুনা করে। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জালালউদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না, কোন অভিযোগ পাইনি। কেউ অভিযোগ দিলে পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।