নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে আলু। এ বছর ইতিমধ্যে কিছু কিছু জায়গায় কৃষকেরা আলু উত্তোলন শুরু করেছে। উত্তরবঙ্গের শ্রমিকরা মুন্সীগঞ্জ জেলায় আসতে শুরু করেছেন। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকেরা মুন্সীগঞ্জে আলু উত্তোলন করতে আসছেন। জেলার ছয়টি উপজেলায় আলুর আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর, টঙ্গীবাড়ী ও সিরাজদিখান উপজেলায় আলুর আবাদ বেশি হয়ে থাকে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে নারী ও পুরুষ শ্রমিক আসেন আলু রোপণ ও উত্তোলনের জন্য বিশেষ করে রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, জামালপুর এই জেলাগুলো থেকে শ্রমিকরা বেশি এসে থাকে। এদের মধ্যে আবার অনেকেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মুন্সীগঞ্জে আসেন আলু রোপণ বা উত্তোলন করতে। আলু রোপণ ও উত্তোলনের সময় উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১৫/২০ হাজার শ্রমিক আসেন। সিরাজদিখান উপজেলার কয়েকটি জমিতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। এদের মধ্যে একটি জমিতে ১৫ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী শ্রমিককে আলু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। পুরোদমে আলু উত্তোলন শুরু হবে মার্চ মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখে। আর এ আলু উত্তোলন চলবে মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত।
সিরাজদিখান উপজেলার কৃষক আহমেদ উদ্দিন জানান, গত বছরের ন্যায় এই বছর তেমন ভালো ফলন হয়নি। এ বছর আলু তেমনভাবে বেড়েও উঠতে পারেনি। তাই বড় আলুর চেয়ে ছোট আলুর সংখ্যা বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ বছর আমাদের খুব একটা ভালো ফলন হয়নি। তবে যদি বাজারমূল্যটা ঠিকঠাক থাকে তাহলে হয়তো লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। বর্তমান বাজারে জমি থেকে আলুর মূল্য ১০ টাকা কেজি এবং ৪০০ টাকা মণ। তবে আশা করছি, আরো বাড়বে। যদি না বাড়ে তাহলে আমার মত যারা কৃষক আছে ঋণ করে আলু চাষ করেছে তারা পথে বসে যাবে। ধার-দেনা করে কিস্তি তুলে আলু চাষ করেছি কয়টা টাকার জন্য। এখন যদি আলুর বাজারমূল্য না বেড়ে কমে যায় তাহলে আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন রাস্তা থাকবে না।