নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মারামারি, ভাংচুর, লুটপাটসহ একাধিক মামলার আসামী মোঃ স্বপন মিয়া (৪১) কে গ্রেফতার করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ ইমরান খান। গত শুক্রবার রাত ৯টায় সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন এর দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ ইমরান খান সঙ্গীয় ফোর্স উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের কয়রাখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত স্বপন মিয়া উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ১১ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সিরাজদিখান থানার ১২ জুলাই ২০২১ ইং মামলা নং ৮/১৭১ এর বাদীর স্বামী ও ভাতিজি জামাই আঃ মোহায়মিনকে পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে পথিমধ্যে আসামীগণ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে বাদীর স্বামী হাত দিয়ে ফিরাইলে হাতের আঙুল কেটে পড়ে যায়। পুনরায় আসামীগণ হত্যার উদ্দেশ্যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় কোপ মারলে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আসামীগণ একই কায়দায় বাদীর ভাতিজি জামাইকে হত্যা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে আসামীগণ বাদীর চাচাশ্বশুর গিয়াসউদ্দিনের বাড়িতে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে বাদীর জা সালমা বেগমের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। আহতদের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীগণ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ আবারো সুযোগ পেলে হত্যা করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বাদী পরে আত্মীয়-স্বজনের সাথে সলাপরামর্শ করে সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সিরাজদিখান থানায় মারামারি, ভাংচুর, লুটপাটের একাধিক মামলা রয়েছে। এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার এসআই মোহাম্মদ ইমরান খান জানান, স্বপনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর হতেই সে পলাতক ছিল। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কয়রাখোলায় তার শশুরবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, বালুচর ইউনিয়নের কয়রাখোলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় মামলা রুজু হওয়ায় আমরা মামলার এজাহারনামীয় আসামি স্বপনকে গ্রেফতার করেছি। ইতিপূর্বে স্বপনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালেও একটি মামলা হয়েছিল। মারামারি ও নাশকতায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে সিরাজদিখান থানা পুলিশ সবসময়ই কঠোর অবস্থানে থাকবে।
সিরাজদিখানে একাধিক মামলার আসামী স্বপন গ্রেফতার
আগের পোস্ট