নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহজালাল সামাজিক দূরত্ব না মেনে মাস্ক ছাড়া চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বাণিজ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বয়রাগাদি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহজালাল তার বাড়ির পাশে একটি কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে কোন ধরনের সামাজিক দূরত্ব না মেনে ও সরকারী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বাণিজ্য। সেখানে পড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের। তবে শিক্ষকসহ অধিকাংশ শিক্ষার্থীই কোন মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করছেনা। দেখা যায়, এক বেঞ্চে একাধিক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে বসে আছে। সেখানে সকাল ৮টা থেকে পড়ানো শুরু হয় ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ও সকাল ৯টা থেকে পড়ানো হয় ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের। বয়রাগাদি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শামিম বলেন, আমরা করোনার আগে স্যারের কাছে এক ব্যাচে ২০ জন পড়তাম আর এখন আমাদের ব্যাচে ৬ জন পড়ি। এ বিষয়ে বয়রাগাদি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোঃ শাহাজালাল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন তেমন ছাত্র-ছাত্রী পড়াইনা। করোনা পরিস্থিতির আগে আমি ১ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়াতাম। এখন যাদের পড়াই তারা আমার বাড়ির মানুষ ও আত্মীয়স্বজন। বয়রাগাদি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সেন্টু মিয়া বলেন, করোনার কারণে আমি বাড়ি থেকে বের হইনি। তবে কোচিং করানোর বিষয়ে আমি জানতে পেরে খোঁজ নিয়ে দেখেছি সে তার বাড়ির দৈনিক তিন-চার জন ছাত্র পড়ায়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ মোঃ সালেহ এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের নীতিমালা বা সরকারী বিধানের বাইরে কোন কাজই করা যাবেনা। যদি কোন শিক্ষক এমন কাজ করে তাহলে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।