নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্মাণ কাজে নতুন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের বদলে পুরাতন ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণহাটি-আলমপুর রাস্তার পুরাতন কালভার্ট ভেঙে নতুন কালভার্ট নির্মাণ কাজে নতুন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে পুরাতন নির্মাণ সামগ্রী। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে পুরাতন ও নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বাধা দিয়ে বেশ কয়েকবার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে। কিন্তু এলাকাবাসীর বাধাকে উপেক্ষা করে কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে নির্মাণ কাজ। কালভার্ট নির্মাণে যাতে কোন প্রকার অনিয়ম না হয় সেজন্য স্থানীয় লোকজন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টটির নিচের অংশের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। যাতে ব্যবহার করা হয়েছে পুরাতন কালভার্টের ভাঙা নির্মাণ সামগ্রী তথা পুরাতন ইট, বালু ও সুরকি। নতুন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আর নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে পুরাতন নির্মাণ সামগ্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেখরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণহাটি-আলমপুর রাস্তার পুরাতন কালভার্ট ভেঙে নতুন কালভার্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেহের আলী মেম্বার। কাজ শুরু করার পর থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড় তোলেন স্থানীয় লোকজন। কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি স্থানীয় লোকজন স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানোর পর তিনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মেহের আলীকে নিম্নমানের পুরাতন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে নিষেধ করেন। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক দলীয় ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে অনিয়মের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অবশেষে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে রাতের আঁধারে পুরাতন নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মেহের আলী। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মেহের আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও স্যার বলার পর আমি পুরাতন ইট, বালু সরিয়ে নিয়েছি। নির্মাণ কাজে পুরাতন ইট, বালু ও সুরকি ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি। স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকাবাসীসহ আমরা তাকে কয়েকবার নিষেধ করেছি কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেননি। এরপর আমরা বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেবকে অবহিত করি। চেয়ারম্যান সাহেবের কথাও তিনি শোনেননি। সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, ওই কাজটি পিআইও এর আন্ডারে। তাই আমি কিছু বলতে পারছি না। সিরাজদিখান উপজেলা পিআইও কর্মকর্তা আরমিন সুলতানা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং তাকে বলাও হয়েছে। তাকে অফিসে ডাকানোও হয়েছিল। সে বলেছে ম্যাডাম আমি পুরোনো জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতেছি। তারপরেও আমি বিষয়টি দেখছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।