নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশ ও আনন্দ আয়োজনের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানের শুলপুরে গত রোববার পালিত হয়েছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব পবিত্র ইস্টার সানডে। ইস্টার সানডে উপলক্ষে উপাসনালয়সহ বাসা-বাড়ি সাজিয়েছেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
জেলার একমাত্র গীর্জা সিরাজদিখানের কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুর গ্রামে অবস্থিত সাধু যোশেফ গির্জায় গত রোববার সকাল ৯টায় সমবেত প্রার্থনায় কামনা করা হয়েছে বিশ্বকল্যাণ। প্রার্থনা পরিচালনা করেন সাধু যোাশেফ গির্জার ফাদার কমল কুড়াইয়া।
ফাদার কমল কুড়াইয়া বলেন, ‘ঊনপঞ্চাশ দিনের রোজা পালন শেষে এ দিনে বিশ্বের সব খ্রিস্ট ভক্তদের জীবনে বয়ে আনে নির্মল আনন্দ ও শান্তি। গুড ফ্রাইডেতে বিপথগামী ইহুদীরা তাকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করেছিল। মৃত্যুর তৃতীয় দিবস অর্থাৎ রোববার তিনি মৃত্যু থেকে জেগে উঠেছিলেন। মৃত্যুকে জয় করে যিশু সকল ক্লান্তি দূর করার জন্য আবারও মানুষের মাঝে ফিরে আসেন। এ দিনটিকেই আমরা ইস্টার সানডে হিসেবে পালন করি।
প্রার্থনার পাশাপাশি চলে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনা, প্রসাদ বিতরণ ও আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় পবিত্র ইস্টার সানডের গুরুত্ব ও মানবজীবনে তার প্রয়োগ সম্পর্কে গুরুগম্ভীর দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করা হয়। খ্রিস্টান ধর্মের আদি পিতা যিশু খিস্টের এ ধরায় দ্বিতীয়বার আগমনের এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানা আয়োজনে দিনটিকে উদযাপন করেছে সিরাজদিখানের শুলপুরের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সকলে।
মিশন পালকীয় পরিষদের সহ-সভাপতি সজল জন পিরীজ জানান, ‘যিশু খ্রিস্ট তিনদিন মৃত থাকার পর বছরের এই দিনে পুনরায় জীবন ফিরে পান। সেই থেকে আমরা খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে থাকি।