নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বাড়ি-ঘর ভাংচুর, মালামাল লুট ও জমি দখলের চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিবাদীগণ পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের নয়াবাড়ি এলাকায়। সরেজমিনে জানা যায়, গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নয়াবাড়ি হাসান বেপারী (৭৫) এর বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও জমি দখলের চেষ্টা করে তারই ভাতিজা সুমন বেপারী (৩৫)। এ ঘটনায় ঐ দিনই থানায় অভিযোগ করেন তিনি। এলাকাবাসী জানায়, সুমন ১৫/১৬ জন লোক নিয়ে চাচার একটি বড় টিনের ঘর ভেঙে দেয়। তাদের বাড়ির ছেলেরা বিদেশে থাকে। বাড়িতে শুধু একজন মুরুব্বি আর মহিলারা আছে। মহিলারা কি করবে, তারা বাঁধা দিতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়। সুমন বেপরোয়া, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে সমস্যা করবে। তাই প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি অনেকে। হাসান বেপারী জানান, আমার ভাই করিম বেপারি সে মারা গেছে। বাড়ি ভাগ-বাটোয়ারা হয়নাই। যার যার হিস্যা অনুযায়ী আছি। মৌখিক ভাগ-বাটোয়ারায় যার যার সাইটে ঘর গাছ-গাছালি লাগিয়েছি। কোন সমস্যা ছিলো না। গত ৭ মাস ধরে ভাতিজা নানাভাবে অত্যাচার করছে। কয়েকবার স্থানীয়ভাবে বিচার মীমাংসা হয়েছে। কিন্তু পরে এসে তা আর মানে না সে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় থানায় তাকে ডেকেছে, সেখানেও সে যায়নাই। তাই এখন অভিযোগ করেছি। হাসান বেপারীর পুত্রবধূ লাভলী জানান, বড় টিনের ঘরটি ভেঙে চুরমার করে টিন কাঠ লুট করে নিয়ে যায় সুমন ও তার লোকেরা। আমি মোবাইলে ভিডিও করি তখন আমাকে লাঠি দিয়ে সুমন আঘাত করে। আমার ভাগনি আবার ভিডিও করতে গেলে তাকে চুলে ধরে টেনে সরিয়ে দেয় সুমনের বোন। আমরা মহিলা ও বাচ্চাদের নিয়ে থাকি, পুরুষেরা বিদেশে তাই ভয় ও আতঙ্কে আছি আমরা। ফারুক মেম্বার ২ মাস সময় নিয়েছিলেন মীমাংসা করবেন। কিন্তু ঘটনার আগের দিন মেম্বার উপস্থিত থেকে সুমনকে নিয়ে জায়গা মাপে। আমরা জিজ্ঞেস করলে মেম্বার বলে এমনিতেই দেখতেছে। পরদিন শুক্রবার সুমন ১৫/১৬ জন লোক নিয়ে ঘর ভাঙ্গে। তারপর মেম্বার আর কোন খোঁজ-খবর নেয়নাই। সুমন বেপারীকে ফোনে পাওয়া গেলে তিনি বলেন, ৩০ মিনিট পর ফোন দিন। এরপর আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তার বাড়িতে গিয়ে গেটে তালা দেখা যায়। বাড়িতে কেউ ছিলো না।
মধ্যপাড়া ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক হোসেন জানান, ঐ দিন সুমন জায়গায় খুঁটি দেখতে ডাক দিয়েছিলো, তাই আমি গিয়েছি। পরদিনের ঘটনা আমি শুনেছি। আমাকে কেউ ডাকেনি, তারা সরাসরি থানায় চলে গেছে। সহকারি উপ পরিদর্শক শেখ রাজু বলেন, থানায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওসি স্যারের নির্দেশে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন উপ পরিদর্শক ইমরান হোসেন খান।