নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চরনিমতলা গ্রামের উত্তরপাড়ার রাস্তার বেহাল দশা। ভোগান্তিতে তিন গ্রামের ৪/৫ হাজার মানুষ। সংস্কারের অভাবে অসংখ্য খানা-খন্দের কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা। ফলে স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি পানিতে ডুবে যায়। এতে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা পড়ছে চরম দূর্ভোগে। জানা যায়, উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের চরনিমতলা গ্রামের কফিলউদ্দিন সরকারের বাড়ি হতে হিরন মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার বেহাল দশা। একটু বৃষ্টি হলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে রাস্তাটি। এমনকি রোগী ও মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে বের হতে বেকায়দায় পড়তে হয় ঐ এলাকার মানুষের। চরনিমতলা গ্রামের মনির হোসেন মুন্সী (৬৫) জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে বলছি আমাদের এই রাস্তার দুর্দশা কিভাবে দূর হবে, কিভাবে ভালোভাবে এই রাস্তা দিয়ে চলতে পারি আমরা বারবার বলছি। কিন্তু কেউ কিছু বলছে না। চরনিমতলা গ্রামের সুমি আক্তার (২৫) জানান, এই রাস্তাটি অনেক দিন যাবত ভাঙ্গাচুড়া। সংস্কার করা হচ্ছে না। আমাদের যাতায়াতের অনেক সমস্যা হয়। বর্ষায় রাস্তার উপর হাঁটু পানি উঠে যায়। নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। মজর আলী মোল্লা (৮০) জানান, মেঘ-বৃষ্টি হলে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। আমরা চলতে পারিনা। সরকারের কাছে অনুরোধ রইল তাড়াতাড়ি যেন রাস্তাটি মেরামত করে দেয়। অবসরপ্রাপ্ত স্কুলমাস্টার সিরাজুল ইসলাম (৮৫) জানান, রাস্তাটায় ৪/৫ বছর আগে কিছু মাটি ফেলা হয়েছে। এরপরে আর কোন কাজ করেনাই। দুই তিন গ্রামের ৪/৫ হাজার লোক এই রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করে। যদি সরকার মেরামত করে দেন তাহলে আমরা উপকৃত হবো। লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সোহরাব হোসেন জানান, বর্তমানে কমলাপুর মোড় হতে নিমতলা প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত ৮,৯১,৭৯৬ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার মিটার রাস্তা পাকাকরণ উন্নয়ন কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে আগামী বরাদ্দে লতব্দী স্কুল হতে নিমতলা সরকারী প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত বাকী রাস্তার পাকাকরণ কাজ হবে ইনশাআল্লাহ। এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ জানান, আগামী অর্থবছরের বরাদ্দে রাস্তার বাকী অংশটুকু মেইন রোডে সংযোগ পেতে পাকাকরণ দ্রুত করে ফেলবো।