নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল মতিন (৫০), পারুল বেগম (৪০), জিহাদ (১৭) ও নাহিদ হাসান (২৯) নামে ৪ জন আহত হয়েছে। গত শুক্রবার উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের বাসাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে গুরুতর আহত আব্দুল মতিন ও জিহাদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকী দুইজনকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাসাইল গ্রামের মৃত আব্দুল কাদির শেখের ছেলে আব্দুল মতিন ও তার আপন ভাই আব্দুল আলিমের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে শত্রুতা চলে আসছিলো। এরই জেরে গত শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে আব্দুল আলিম, স্ত্রী শিরিন বেগম, ছেলে আসিফ, মেয়ে সোনিয়া আক্তারসহ আরো বেশ কয়েকজন আব্দুল মতিনসহ তার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে আব্দুল মতিন ও তার ছেলে জিহাদ গুরুতর আহতসহ স্ত্রী পারুল বেগম ও আরেক ছেলে নাহিদ হাসান আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিলে হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুল মতিন ও তার ছেলে জিহাদের অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ভুক্তভোগী আব্দুল মতিনের স্ত্রী পারুল বেগম বলেন, আমার শ^শুর মারা যাওয়ার পর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শ^শুরের ওয়ারিশ সম্পত্তি আমার স্বামীসহ তার তিন ভাইয়ের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়ে যার যার জায়গা বুঝিয়ে দেয়। এরপর আমার স্বামী তার প্রাপ্ত সম্পত্তি ভরাট করে বিল্ডিং নির্মাণ করতে গেলে আব্দুল আলিম বাধা দিয়ে বলে এখানে আমার জায়গা আছে তোরা এখানে বিল্ডিং করতে পারবি না। আব্দুল আলিম ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের বহুদিন যাবৎ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমরা তাদের ভয়ে বাড়ীতে পর্যন্ত থাকতে পারি না আমার বাবার বাড়ীতে গিয়ে থাকি। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়েছি। তিনি তাদের পরিষদে ডেকেছেন কিন্তু তারা যায়নি। শুধু তাই নয়, আব্দুল আলিমের মেয়ে আমাদের নামে কোর্টে মিথ্যা মামলাও করেছে। সেই মামলায় জামিনে এসে গত শুক্রবার আমরা বাড়ীতে গেলে তারা আমাদের বাড়ীতে উঠতে না দিয়ে আমাদের মারধর শুরু করে। তাদের মারধরে আমার স্বামীর এক হাত ভেঙে গেছে। ছেলের মাথা ফেটে গেছে। তারা আমাকে ও আমার বড় ছেলেকেও মারধর করেছে। মান সম্মানের কথা চিন্তা করে এ পর্যন্ত থানায় আসিনাই। কিন্তু এখন আর না পেরে থানায় তাদের নামে লিখিত অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল আলিমের মোবাইল ফোনে বারংবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সিরাজদিখান থানার এস আই জিয়াউর জানান, তারা থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি আমার কাছে ছিলো এবং ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা ছিলো। আমি যখন ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য বাদী পারুল বেগমকে ফোন করলাম তখন তিনি এ বিষয়ে কোর্টে মামলা করার কথা জানালেন। কিন্তু তিনি যখন একই বিষয় নিয়ে কোর্টে মামলা করেছেন তখন আমাদের যাওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।