নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় লতব্দী চন্ডীবর্দ্দী মৌজার খিদিরপুর এলাকায় কৃষকের ফসলি জমি থেকে জোর করে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাটি কেটে নেওয়ায় এসব জমিতে কয়েক বছর ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। মাটি কাটার ঘটনায় জড়িত ওই ব্যক্তিদের নাম মোঃ শামীম (৩০) ও মোঃ শাহিন। তাদের বাড়ি লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর এলাকায়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, ‘ফসলি জমির মাটি কাটার বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তারপরও দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, শ্রমিক নিয়োগ করে জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। তারা প্রতিদিন ১০-১৫ ট্রাক মাটি বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছেন। এসব মাটি রাস্তা ভরাট, ইটের ভাটা, বসতঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, লতব্দী চন্ডীবর্দ্দী খিদিরপুর সংলগ্ন চক এলাকায় ২০-২৫ একর ফসলি জমি থেকে এক্সক্যাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। এতে জমির বিভিন্ন স্থানে ৭-৮ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। খিদিরপুর গ্রামের মোজ্জাম্মেল হোসেন পিন্টু অভিযোগ করেন, মৃত আওলাদ হোসেন সেন্টুর ছেলে মোঃ শামীম তার ৩ একর ৫০ শতাংশ জমি থেকে মাটি কেটে নিয়েছেন। তাতে তার জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমির মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তিনি এবার জমিতে কোনো ফসল চাষ করতে পারেননি। মাটি কাটতে অনেক নিষেধ করা হলেও শামীম ও তার ভাই শাহিন কোন কথা তার শোনেননি। মাটি কাটার বিষয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অন্যের জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে শামীম বলেন, ‘যেসব জমি থেকে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে, সেসব জমি আমার তা অনেক আগে কাটা হয়েছিল। জমির অনেক মালিকও মাটি বিক্রি করছেন। শুধু আমিই বিক্রি করছি, এটা ঠিক না। সিরাজদিখান উপজেলা পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি কামাল হোসেন মাদবর বলেন, কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে ফেলায় এর উর্বরতা হারিয়ে যায়। বিষয়টি নতুন জেলা প্রশাসককে জানানো হবে।