নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলায় দিনে রাতে অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। একদিকে তীব্র তাপদাহ চলছে অন্যদিকে এতো লোডশেডিং। এতে করে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনাসহ শিল্প-কারখানার উৎপাদন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঝড়-বৃষ্টি হলেই
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখে। বর্তমানে তেমন কোন ঝড়-বৃষ্টি না হলেও ঘন্টার পর ঘন্টার লোডশেডিং। এতে ভোগান্তিসহ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ফ্রিজে থাকা মাছ, মাংস এবং কাঁচা তরকারি পচে যায়। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঠিকমত পড়াশোনায় মনযোগী হতে পারছে না। লোডশেডিংয়ের চরম এ ভোগান্তি থেকে বাঁচতে পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
লতব্দী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন মাদবর বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ আমাদের এলাকায় লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে রাখা মাছ, মাংস, তরিতরকারি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে রাতে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি চার্জ দিতে পারছি না। সমস্যা জানার জন্য অফিসে ফোন দিলেও ফোন ধরছেনা। একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ দীর্ঘসময়ের জন্য চলে যায়। আমরা বিদ্যুৎ নেই কেন জানতে চাইলে তারা বিভিন্ন বাহানা দেখায়। আমরা এর সমাধান চাই।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান জোনাল অফিসের ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুল হাসান জানান, জাতীয় গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় আমরা বিদ্যুৎ কম পাচ্ছি। তাই একটু সমস্যা হচ্ছে।