নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মসজিদের হাফেজকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির দ্বন্দ্বে হামলায় মোঃ জামিল (৪৫) নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের লালবড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত জামিল উপজেলার একই গ্রামের হাজী নাজির মোহাম্মদের ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, উত্তর ইছাপুরা লালবাড়ি জামে মসজিদের হাফেজকে বাড়িতে পৌঁছানো নিয়ে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মো. জামিল (৪৫) এর সাথে মো. হাসান তালুকদার (৫০) এর ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার একপর্যায়ে উভয়ে মারমুখী ভঙ্গীতে চলে গেলে স্থানীয়রা, জামিলের স্ত্রী ও বোন গিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। জামিলের বোন সেলিনা বলেন, আমার ভাইকে রাতে হাসান তালুকদার ও তার ছেলেরা মিলে মারধর করতে আসলে তার ডাকচিৎকারে আমরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। সকালে আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে হাসান তালুকদারের মেয়ে যাচ্ছিল। তখন আমার ভাই বলে, তোমরা আমাদের বাড়ির উপর দিয়ে যেওনা। তার মেয়ে বাড়িতে গিয়ে বিচার দিলে ওর বড়ভাই আসে। তার পরপর হাসান তালুকদারও আসে। তখন কথা কাটাকাটি লাগে। তাদের ধাক্কায় আমার ভাই ঘাটে পড়ে গেলে তারা সবাই মিলে আমার ভাইকে প্রচুর মারধর করে মাথা ফটিয়ে দেয়।
হাসান তালুকদার বলেন, মসজিদের হাফেজকে রাখা নিয়ে রাতে তারাবীর পরে জামিলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে গতকাল বুধবার সকালে জামিল আমার মেয়েকে লাঠি দিয়ে মারতে আসে। মেয়ে আমার কাছে বিচার দিলে আমি জামিলের কাছে জানতে চাই কেন সে আমার ছোট মেয়েকে মারতে চায়? এই কথা বলতেই সে লাঠি নিয়ে আমাকে মারতে আসে। সেই লাঠি থামাতে আমার বড় ছেলে এগিয়ে আসলে তার সাথে ধস্তাধস্তি হয়। সেসময় জামিল পুকুর পাড়ের পাকা ঘাটলার উপরে পড়ে যায়। আর তাতে তার মাথা ফেটে যায়। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। যদি এ বিষয়ে কোন অভিযোগ হয়ে থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজদিখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা, আহত-১
আগের পোস্ট