নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের বালুচর ইউনিয়নে সুমনা হাউজিং ও দক্ষিণা গ্রীন সিটি হাউজিং প্রকল্প দখল ও সাইনবোর্ড লাগানো নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের এক এএসআইসহ ২ কনস্টেবল আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। এ নিয়ে স্থানীয় কয়েকটি এলাকার জনগণের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর খাসকান্দি এলাকায় গত শনিবার রাত থেকেই কয়েক শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, বল্লম ও রামদা নিয়ে একে অন্যের ওপর চড়াও হয়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও দক্ষিণা গ্রীন সিটির লোকজন সুমনা হাউজিংয়ের সাইনবোর্ড ভাংচুর করে। সিরাজদিখান থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করেছে। গতকাল রবিবার ভোর রাত থেকে দুটি হাউজিং গ্রুপের লোকজন জড়ো হয়ে দখল-পাল্টা দখলের চেষ্টা করলে পুলিশ সকাল ৭টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ করে। এসময় পুলিশের উপর দখলকারীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সিরাজদিখান থানার এএসআই দিলীপ কুমারসহ ২ কনস্টেবল আহত হয়। পরে পুলিশ দখলকারীদের উপর ১৫ রাউন্ড শর্ট গানের গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশের অভিযান চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক মাস যাবত বালুচর ইউনিয়ন খাসকান্দি চান্দের চর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা হাউজিং প্রকল্প সুমনা হাউজিং ও দক্ষিণা গ্রীন সিটির মধ্যে জায়গা দখল ও সাইনবোর্ড লাগানো নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা চলছিলো। সেই উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে টেঁটা-বল্লমের যুদ্ধে। জানা যায়, গত ২১ শে ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালে সুমনা হাউজিং প্রকল্পের শীর্ষস্থানীয় নেত্রীবৃন্দসহ বহিরাগত লোকজন প্রকাশ্যে দেশীয় টেঁটা-বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে দক্ষিণা গ্রীন সিটির সাইনবোর্ড ভেঙে নিয়ে যায় এবং দক্ষিণা গ্রীন সিটির সাইনবোর্ডের জায়গায় সুমনা হাউজিংয়ের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। এখন আবার সুমনা হাউজিংয়ের সাইনবোর্ড ভেঙে নিজেদের স্থান পুনঃদখল নিচ্ছেন দক্ষিণা গ্রীন সিটি। এই নিয়ে এখন দুটি হাউজিং প্রকল্পের লোকজনের মাঝে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া চলছে। যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সিরাজদিখান থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন জানান, দুটি হাউজিং প্রকল্পের লোকজনের মধ্যে একটি জায়গা দখল পাল্টা দখল নিয়ে সংঘর্ষের জন্য জড়ো হলে পুলিশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে। এসময় জনতা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে একজন এএসআইসহ ২ কনস্টেবল আহত হয়। পরে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্ট গানের গুলিবর্ষণ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য। এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে ।