নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে গভীর রাতে বসতঘরে ঢুকে ভাবীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পা ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবরের বিরুদ্ধে। উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের চর খাসকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানায় মামলা দিতে গেলে মামলা নেয়নি থানা পুলিশ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চর খাসকান্দি গ্রামের মৃত মোসলেম মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলাম ব্যবসার কাজে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। দ্বীন ইসলাম বাড়ীর বাহিরে থাকায় তার স্ত্রী নাজমা (২৫) বাড়ীতে একা থাকে। দ্বীন ইসলামের ছোট ভাই আল ইসলাম (৩৫) দীর্ঘদিন যাবত বড় ভাইয়ের বউ নাজমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আল ইসলাম নবধারা হাউজিং প্রকল্পে সহকারী এমডির দায়িত্বে আছে এবং এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মসহ মাদক সেবনকারী হিসেবে পরিচিত। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভাবীর উপর ক্ষিপ্ত ছিল আল ইসলাম। দ্বীন ইসলাম ব্যবসার কাজে রাজশাহী থাকায় গত ২২ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় দরজায় বারি দিতে থাকলে ঘুম থেকে উঠে নাজমা দরজা খুললে ঘরে ঢুকে নাজমার মুখ চেপে ধরে সালোয়ার কামিজ ছিঁড়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। নাজমা চিৎকার করলে আরেক দেবর আলমগীর (৩২) ও একই গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাইফুল (২৮) এগিয়ে আসলে তাদেরকে বিস্তারিত জানায় নাজমা। আল ইসলামের পক্ষ নিয়ে আলমগীর ও সাইফুল এলোপাথারী মারপিট করতে থাকলে নাজমা মাটিতে পড়ে যায়। আল ইসলাম ঘরে থাকা কাঠের ডাসা দিয়া মাথায় আঘাত করার জন্য বারি দিলে নাজমা সরে গেলে ডান পায়ে বারি লেগে পা ভেঙ্গে যায়। থানা পুলিশকে খবর ও আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায় তারা। পুলিশ উদ্ধার করলে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। আরো জানা যায়, খবর পেয়ে দ্বীন ইসলাম রাজশাহী থেকে বাড়ী ফিরে এসে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত থানায় ঘুরে মামলা করাতে পারেনি ভুক্তভোগীরা। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, নবধারা হাউজিং প্রকল্পের চেয়ারম্যান শাহজাহান থানা পুলিশের সাথে ভালো সর্ম্পক থাকায় এ এলাকার কোন মামলা করতে হলে তার সমর্থনে হয়। শাহজাহান মামলা নিতে না বললে পুলিশ মামলা নিতে চায় না। ভুক্তভোগী নাজমা জানান, আমার স্বামী ব্যবসার কাজে বাড়ীর বাহিরে থাকে। আমর দেবর আল ইসলাম বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তার দেয়। চোখের ইশারা দেয়। আমার ৩ বাচ্চা নিয়া ঘুমাইতেছিলাম। আমার দেবর ঘরের দরজা ধাক্কাইলে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। দরজা খুললে বাচ্চাদের সামনে আমার মুখ ধরে সালোয়ার কামিজ ছিঁড়ে ফেলে। আমি থানায় মামলা করতে গেছিলাম, পুলিশ মামলা নেয় না। শুধু মারামারির মামলার দিলে নিবো। আমার সাথে অসভ্যতামী করছে তার কোন মামলা নিতে চায় না। সিরাজদিখান থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।