নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চর ও পশ্চিম চান্দের চর গ্রাম দুটি ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আছে। একযুগেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি। এলাকাবাসী এই নদী ভাঙন রোধে নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করছে। দীর্ঘদিনে জমি ভাঙতে ভাঙতে এখন নদীর পাড় চলে এসেছে জনবসতির কাছে। আর মাত্র একশত মিটার নদী পাড় থেকে ভাঙলে গ্রামের বাড়ি-ঘর, স্কুল, মসজিদ-মাদরাসা, হাট বাজার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হতে শুরু করবে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার বলেও কোন সহযোগিতা না পেয়ে আমরা নিজ উদ্যোগে ভাঙ্গন রোধে চেষ্টা চালাচ্ছি। গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে এলাকার যুবকদের প্রচেষ্টায় এবং এলাকাবাসীর আর্থিক সহযোগিতায় নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে বাঁচার জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। তারা আরো জানান, প্রতি বছর বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এবং নদীতে জোয়ার ভাটার চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ধলেশ্বরী নদীর তীর প্রবলভাবে ভাঙতে শুরু করে। এভাবে বিগত প্রায় একযুগ ধরে নদীর পাড় এলাকায় ৩ ফসলী উর্বর জমিগুলো বিলীন হয়ে গেছে। এখন বাড়ি-ঘর ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙনের কবলে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চান্দেরচর গ্রাম ও বাসাইল ইউনিয়নের চরগুলগুলিয়া গ্রাম। নদী ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে এ এলাকায় বসবাসরত ১২ হাজার মানুষ। এখানে ১৫টি মসজিদ রয়েছে, ২টি মাদরাসা, ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক একটি, ৩টি পাকা ব্রীজ, ২টি ঈদগাহ ময়দান, কবরস্থান, নৌকা ঘাট ৩টি ও ছোট বাজার রয়েছে ৩টি। তাছাড়া এ এলাকায় ৩ ফসলী জমি বেশি। কৃষির উপর নির্ভর এ এলাকার মানুষ। এখন থেকে ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে এ অঞ্চল অচিরেই বিলীন হতে পারে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, আমি এই উপজেলায় আসার পর এ বিষয়ে একাধিকবার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করেছি। কয়েকবার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডেও চিঠি দিয়েছি।