নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে সেই সাথে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুইদিনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের প্রায় ২০টি বাড়ী। হুমকির মুখে পড়েছে আরো শতাধিক বাড়ী এবং ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসা। এতে নদী ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব এলাকায় কোন ধরণের সাহায্য পাচ্ছেন না বলে ভাঙন কবলিত লোকজনের অভিযোগ। অনেক পরিবার তড়িঘড়ি করে তাদের ঘরবাড়ি অন্য এলাকায় সরিয়ে নিয়েছে। গত রবিবার ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে দিশেহারা ইসলামপুর গ্রামের মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, হঠাৎ নদীতে পানি কমে স্রোতের চাপ বৃদ্ধি পায়। আমরা এখন ভাঙনের মুখে কোনোমতে বেঁচে আছি। বসতভিটা সবই নদীতে চলে গেছে। হঠাৎ করে অনেক বড় জায়গা নিয়ে পাড় ভেঙে নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। কেয়াইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী শেখ জানান, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা প্রতিদিনি বাড়ছে। নদীতে পানি কমার সাথে সাথে তীব্র স্রোতের কারণে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত ৩ দিনে প্রায় ২০টির মত বাড়ী নদীতে ভেঙ্গে নিয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে একটি মাদ্রাসাসহ প্রায় শতাধিক বাড়ী ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। ইসলামপুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জহুরুল হক বলেন, বিদ্যালয়ে সবমিলিয়ে হাজার খানেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। আমরা এখন খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে আর কয়েক দিনের মধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার বলেন, বিষয়টি আমি জানি প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা ভাঙন এলাকায় বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙনরোধের চেষ্টা করছি। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা ভাঙন কবলিত এলাকা পরির্দশনে আসবেন।