নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নিখোঁজের ১৯ দিনেও সন্ধান মেলেনি সাড়ে ৩ বছরের কন্যা সন্তান ফারিয়া আক্তারের জননী গৃহবধূ বেবী আক্তারের। উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসনগর গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেন মেয়ে বেবী আক্তারের গত ৭ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার রাজনগর গ্রামের আঃ কাসেমে ছেলে ফারুক হোসেন ৩০ এর সাথে। তাদের সংসারে রয়েছে সাড়ে ৩ বছরের ফারিয়া আক্তার নামের একটি কন্যা সন্তান। গত ২ জুন স্বামীর বাড়ি হইতে নিখোঁজ হন বেবী আক্তার। নিখোঁজের মা রাশিদা বেগম থানা পুলিশ ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের জানিয়েও এখনো সন্ধান পাননি বেবী আক্তারের। এ বিষয়ে বেবী আক্তারের মা রাশিদা বেগম কান্নারত অবস্থায় অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রতিনিধি আবজাল মেম্বারের ভাগিনা বেবী আক্তারের স্বামী ফারুক হোসেন। তাই আবজাল মেম্বারের নিকট এ বিষয়ে জানালে আমাকে সে বিভিন্ন খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয়। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আমরা খোঁজখবর নিতেছি বলে আমাকে ঘুরাইতেছে। ১৯ দিন হলো আমার মেয়ের কোন খোঁজখবর পাইতেছিনা। রাশিদা বেগম আরো জানান, আমার নাতনি ফারিয়াকে ওরা ৬ মাস বয়সে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। আমি খবর পেয়ে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনি আমার মেয়ের জামাই সবসময়ই নেশা করে, গাঁজা, মদ খায়। এ বিষয়ে বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবজাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বেবী আক্তারের সাথে একাধিক পুরুষের পরকীয়া সম্পর্ক আছে। সে আমার বাড়িতে ১ মাস ঝি এর (বুয়ার) কাজ করেছে। সেসময় একাধিক ছেলেদের সাথে ফোনে কথা বলতো। তাই তাকে কাজ থেকে বিদায় করে দিয়েছি। তিনি আরো জানান, বেবী আক্তার তার স্বামীর বাড়ি হইতে নিখোঁজ হয়নাই। তার নিজ বাড়ি হইতে নিখোঁজ হয়েছে। সিরাজদিখান থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিরাজদিখানে নিখোঁজের ১৯ দিনেও সন্ধান মেলেনি বেবী আক্তারের
আগের পোস্ট