নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাটিকাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুরে কয়েকটি স্থানে হঠাৎ অভিযান চালিয়ে মাটিকাটা বন্ধ করে দেয়া হয়। নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম মাটিকাটার স্থান থেকে ভেঁকু ও মাটি বহনকারী মাহেন্দ্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
অপরদিকে সকালে একই গ্রামে অবৈধভাবে ড্রেজিং করে মাটি উত্তোলনের সময় উত্তেজিত এলাকাবাসী ড্রেজারসহ পাইপ ভেঙে ফেলে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে অসাধু ব্যক্তিরা ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে ইটভাটায়। ৩ ফসলি জমির মাটিকাটার সাথে জড়িত একাধিক ব্যক্তি ভেঁকু দিয়ে মাটিকাটার দ্বায় এড়াতে একে অন্যের নাম প্রকাশ করছে কিন্তু তারা সবাই মাটিকাটার সাথে জড়িত। উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের পশ্চিম পাশে অবস্থিত জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিদ্যুতের টাওয়ারের নিচ থেকে ও পূর্বপাশের পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির নিচ থেকে মাটি কেটে নেওয়ায় যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কাছে জানতে চাইলে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের শামিম জানান, আমি কয়েক বছর আগেই মাটির ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি। এখন মাটির ব্যবসা করিনা। একই গ্রামের মঞ্জু মিয়া বলেন, আমি কোন মাটিকাটার সাথে জড়িত নই। আর আমি কখনোই মাটি কাটিনাই। কয়েক বছর ধরে শামিম মাটি কেটে আসছে। খিদিরপুর গ্রামের মৃত রসিদ শেখের ছেলে মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আমার ড্রেজার ৩ দিন যাবত ইসমাইল এর কাছে ভাড়া দিয়েছি। গত শুক্রবার সকাল ১১টায় এলাকাবাসী এসে পাইপ ও ড্রেজার ভেঙে দিয়েছে।
খিদিরপুর গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মুজাম্মেল হোসেন, হাবিবুর রহমান, মাহাবুব হোসেন, আশরাফ হোসেন, পলাশ সরকার সহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, শামিম, ফরমান, জনিসহ একাধিক ব্যক্তির নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন খিদিরপুর গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের বিলে ভেঁকু ও ড্রেজার দিয়ে ৩ ফসলি জমির মাটি কেটে ইটের ভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। এতে করে জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিদ্যুতের টাওয়ারের নিচ থেকে ও পূর্ব পাশের পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির নিচ থেকে শামিম ও জনি মাটি কেটে নেওয়ায় যেকোন মুহূর্তে বিদ্যুতের টাওয়ার ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভুক্তভোগীরা আরো জানান, এই মাটিকাটার চক্রটি আমাদের জমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নিয়ে ইটের ভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে ভবিষ্যতে কৃষিজমি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছি।
সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, মাটিকাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এই আদেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।