নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে একটি রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় ভেঙ্গে গেছে। সম্প্রতি রাস্তাটির ইট সলিং সম্পন্ন হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই নবনির্মিত ইট সলিং রাস্তাটিতে ভাঙন ধরায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের বাসাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড়ে অবস্থিত মুদি দোকান থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষা রাস্তাটির ১২২ মিটার ইট সলিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তাটি ইট সলিংয়ের জন্য প্রায় চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। আর এই কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আলম নামের এক ব্যক্তি। বর্তমানে রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে কাজ সম্পন্ন করার কয়েকদিনের মাথায় রাস্তার একপাশে ভাঙন ধরায় যান চলাচলে কোন কাজেই আসছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তাটিতে ১ নাম্বার ইটের পরিবর্তে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে টাকা বাঁচানো হয়েছে। এছাড়া রাস্তাটির ইট সলিং করার সময় রাস্তার সুরক্ষা বাঁধ তৈরি না করে ইট বিছানো হয়েছে। এতে করে বৃষ্টির পানির সামান্য চাপেই ভেঙে পড়েছে রাস্তা। রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার পর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ঠিকাদারকে বেশ কয়েকবার বলার পরও মেরামত করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় যুবক মোঃ তুষার খান জানান, রাস্তাটিতে নিম্নমানের ইট লাগানো হয়েছে। যারা কাজ করে গেছে তাদের কাজের মান খুবই খারাপ। তা না হলে নতুন রাস্তা ভেঙে যায় নাকি! তারা রাস্তার পাশে বাঁধ তৈরি করেনাই। স্কুলের ছাদের পানি পাইপ দিয়ে রাস্তায় এসে পড়ে। রাস্তাটি বড় আকারে ফাটলও ধরেছে। একটু জোরে বৃষ্টি হলেই রাস্তার অর্ধেক ধসে পড়বে। কাজ চলাকালীন তাদেরকে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করতে দেখেছে অনেকে। ভাঙার পর তাদের জানানো হয়েছে। তারা কোন তোয়াক্কাই করেনাই। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আলম মুঠোফোনে জানান, তিনি রাস্তা ভাঙার ব্যাপারে অবগত নন এবং রাস্তাটি ভেঙে গেলে তার কি বা করার আছে। সাংবাদিকের তথ্যের ভিত্তিতে তিনি লোক পাঠিয়ে রাস্তাটি মেরামত করবেন বলে জানিয়েছেন। সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কর্মকর্তা শোয়েব বিন আজাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিরাজদিখানে নির্মাণের কয়েকদিনেই ভেঙে পড়লো রাস্তা, এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ
আগের পোস্ট