নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নির্ধারিত সময়ের দুই বছর পর বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ব্রীজ। তাও আবার ব্রীজের দুই পাশের ঢালের চার সাইডের স্লোপের তিন সাইড বালি দিয়ে ও একপাশে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সামান্য বৃষ্টির পানির ঢলে স্লোপের তিন পাশের বালি সরে ব্রীজের ঢালে বড় বড় গর্ত হওয়ায় গাড়ি চলাচলে দারুণ ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। আর কয়েকদিন বৃষ্টি হলে তখন আর ব্রীজের উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল সম্ভব হবেনা। ব্রীজটি হচ্ছে এলজিইডি বিভাগের বৃহত্তর ঢাকা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ এর আওতায় সিরাজদিখান উপজেলার ইমামগঞ্জ-বাসাইল-গুয়াখোলা-রামকৃষ্ণদী সড়কে ৩০ মিটার পিসি গার্ডার ব্রীজ। জানা যায়, টেন্ডারের সিডিউল অনুযায়ী ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ১৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা এবং নির্মাণের সময়সীমা দেয়া হয়েছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। কিন্তু ঠিকাদার কোম্পানী এশিয়ান ট্রাফিক টেকনোলজিস লিঃ বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ব্রীজের এ কাজ শেষ করেন ২০২১ সালের মার্চ মাসে। কিন্তু কাজ বুঝিয়ে দেয়ার কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি আসায় ব্রীজের ঢালের দুই পাশের তিন সাইডে বালির স্লোপ পানির ঢলে চলে যায়। ফলে ব্রীজের দুই পাশের ঢালে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া ব্রীজের দুই পাশের ঢালে কার্পেটিং না করে শুধু ইট বিছানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকাবাসী তাদের দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত এ ব্রীজের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশায় ভুগছে। ব্রীজের ঢালের স্লোপে বালি দেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত তাই এখন এলাকাবাসীর প্রশ্ন ? এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী শোয়েব বিন আজাদ জানান, ইষ্টিমেটে ব্রীজের দুই পাশের ঢালে কার্পেটিংয়ের পরিবর্তে শুধু ইট বিছানোর কথা এবং স্লোপে সিমেন্টের ব্লক দেয়ার কথা ছিলনা। ভাঙনের কথা শুনে আমি তাৎক্ষণিক ঠিকাদারকে মেরামত করার নির্দেশ দিয়েছি।