নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে গত ১৪ আগস্ট রাতে উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের আরমহল গ্রামে পূর্ব শক্রতার জেরে আবু হানিফ তালুকদার (১৫) নামে এক রাজমিস্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করার মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। ঘটনার ৬ দিন পর গত বুধবার রাতে শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার আকন খালী গ্রাম থেকে শামিম খান সীমান্তকে গ্রেপ্তার করে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। আবু হানিফ তালুকদার (১৫) সিরাজদিখান মালখানগর ইউনিয়নের কৃষক হযরত আলীর ছোট ছেলে। সিরাজদিখান থানা সূত্রে জানা যায়, আবু হানিফ তালুকদার (১৫) আসামী শামিম খান সীমান্তকে বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে তিনটায় আবু হানিফ তালুকদার মারা যায়। মৃত্যুর আগে আবু হানিফ হামলাকারীর নাম বলেছিলেন। এর ভিত্তিতে তার বাবা মোঃ হযরত আলী তালুকদার বাদী হয়ে শিয়ালদী গ্রামের মোঃ ভুলু খানের ছেলে শামিম খান সীমান্তকে প্রধান আসামি করে মোট ১১ জনের নামে মামলা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার আইও এস আই সেন্টু চন্দ্র সিংহের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গত বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে। মামলার বাদী হযরত আলী তালুকদারের দাবি, তার ছেলের সঙ্গে পূর্ব শক্রতার জেরে ম্যাচ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শামিম খানের বিরোধ ছিল। বিষয়টি এলাকার খালেক স্থানীয় মেম্বারকে মীমাংসার জন্য জানালে সে মীমাংসার আশ্বাস দেন। তাছাড়া শামিম খান এলাকায় দাপট দেখিয়ে মীমাংসার আগেই গত শুক্রবার আমার তিন ছেলের উপর বাঁশ, লাঠি ও ডাসা নিয়ে হামলা চালায়। পরে তিনজনের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় আবু হানিফকে ওই রাতে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করেন। ওই রাতে ২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে রেখে আসি। গত শনিবার রাত চারটায় খবর পাই আমার ছেলে মারা গেছে। বুলু খার ছেলে শামীম খানসহ ১০ জন আমার তিন ছেলেকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার জন্য হামলা করে। এ সময়ে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি এর সঠিক বিচার চাই। সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।