নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের লক্ষ্মীবিলাস গ্রামে গত ৫ ডিসেম্বর প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার লক্ষ্মীবিলাস গ্রামের সচিন্দ্র মন্ডলের ছেলে দয়াল মন্ডল বাদী হয়ে গত ৭ ডিসেম্বর সিরাজদিখান থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। যার নং-০৬। এতে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ নুরু শেখের স্ত্রী মিনু বেগম, মৃত আরফান শেখের দুই ছেলে জাহাঙ্গীর শেখ ও স্বপন শেখ, নুরু শেখের ছেলে মজিল শেখ, আলি হোসেনের ছেলে রানা শেখ, আলী হোসেনের মেয়ে নাহের বেগমদের বিবাদী করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, বিবাদীদের সাথে মামলার বাদী দয়াল মন্ডলের দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। বিবাদী মিনু বেগম আনুমানিক ২ বছর ধরে জোরপূর্বক দয়াল মন্ডলের জমিতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। একই জমিতে মিনু বেগম পুনরায় নতুন ঘর নির্মাণের চেষ্টাকালে মামলার বাদী দয়াল মন্ডল তাকে ঘর নির্মাণে বাধা দেয় এবং এরই জেরে গত ৫ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে সকল বিবাদীরা বাদীর বসতবাড়ীতে ঢুকে বাদী ও তার স্ত্রী এবং তার ভাইকে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে জখম করে। এজাহারে বর্ণিত কয়েকজন বিবাদী বসতবাড়ীর উত্তর ভিটির বিশ^কর্মা মন্দিরে প্রবেশ করে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি ভাংচুর ও ধর্মের অবমাননাসহ বাদী ও তার লোকজনকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এবং কতক বিবাদী বসত ঘরে ঢুকে ঘরে থাকা জিনিসপত্র ভাংচুর করে আর্থিক ক্ষতি সাধণ করে। এছাড়া দয়াল মন্ডল গত ২৬ নভেম্বর মিনু বেগমসহ মোট ৪ জনকে বিবাদী করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মুন্সীগঞ্জে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১০৭/১১৭ (গ) ধারায় একটি ও ২৩ নভেম্বর দয়াল মন্ডলের ভাই গোবিন চাঁন মন্ডল মিনু বেগমকে একমাত্র বিবাদী করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মুন্সীগঞ্জে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৪৫ ধারায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করা হয় মর্মে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত এক সংবাদের বক্তব্যে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ রিজাউল হক বলেন, আমি ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। ঘটনাটি কৃত্রিম (সাজানো)। পারস্পরিক শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মন্দিরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।