নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে বর্ষা আক্তার (২২) নামে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী গ্রামের মোঃ বাদশা শেখের মেয়ে এবং তাজপুর গ্রামের আরশাদ আলী শেখের ছেলে সৌদি প্রবাসী মোঃ মান্নান শেখের স্ত্রী। পরকীয়া প্রেমিক রশুনিয়া ইউনিয়নের দানিয়াপাড়া গ্রামের হামেদ শেখের বিবাহিত পুত্র নজরুল ইসলাম ওরফে সোহেল। এ ঘটনায় গত শনিবার সৌদি প্রবাসীর পিতা পরকীয়া প্রেমিক এবং তার ছেলের বৌয়ের বিরুদ্ধে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে পরকীয়া প্রেমিকের বিবাহিত স্ত্রী এক সন্তানের জননী বিথী আক্তার একই দিন সিরাজদিখান থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নজরুল ইসলাম ওরফে সোহেল ডিস ব্যবসায়ী হওয়ার সুবাদে বর্ষা আক্তারের স্বামীর বাড়ীতে ডিসের বিল আনতে যাওয়া আসা করতো। বর্ষার স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমনকি তাদের সাথে বিভিন্ন সময় মুঠোফোনে কথোপকথনসহ অবৈধ মেলামেশা হতো। গত ৭ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে বর্ষা তার খালার বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয় বাড়ী ফিরতে দেরি করলে শ্বশুর আরশাদ আলী শেখ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার ছেলে বৌ পরকীয়া প্রেমিক নজরুল ইসলাম ওরফে সোহেলের সাথে পালিয়েছে। পরে তিনি ছেলের বৌ ও তার প্রেমিককে বিবাদী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। শ্বশুর আরশাদ আলী শেখ নগদ ৭৫ হাজার টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে ছেলের বৌ বর্ষা আক্তার তার প্রেমিকের পরামর্শে পলায়ন করে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। অন্যদিকে বর্ষার পরিবারের লোকজন তাদের মেয়েকে ফিরিয়ে না দিলে সোহেলের বড় ধরনের ক্ষতি করবে এমন হুমকি দিচ্ছে মর্মে সাংবাদিকদের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন সোহেলের স্ত্রী বিথী আক্তার। তিনি বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে বাড়ী থেকে বের হয়ে ফিরতে দেরি হলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে অন্য এক মেয়ে নিয়ে পালিয়েছে। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাচ্ছি। কোনদিন ভাবিনি সে এমন জঘন্য কাজ করে ফেলবে। বাড়ীতে পুলিশ এসেছিলো। ওই মেয়ের বাড়ীর লোকজন বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে তাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি কি করবো বুঝতে পারছি না। শ^শুর আরশাদ আলী শেখ বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে খালার বাড়ীর কথা বলে বাড়ী থেকে সোহেল নামে এক ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ঘর থেকে ৭৫ হাজার টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। আমি দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি। ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও সোহেল ও বর্ষাকে খুঁজে পাচ্ছিনা। সিরাজদিখান উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সদস্য মাসুদ লস্কর বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ছেলেটা খুবই খারাপ। ওর নামে বহু অভিযোগও আছে। সিরাজদিখান থানার এস.আই মোতালেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোহেল বর্ষাকে নিয়ে পালিয়েছে মর্মে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তারা কোথায় আছে সেটার সন্ধান চালানো হচ্ছে।