নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিদ্যালয়ের জন্য সরকার প্রদত্ত বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার ভাঙ্গা ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত পুকুর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য সরকার প্রদত্ত ১টি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার ও তার পাশের পুকুরটি দীর্ঘ অনেক বছর যাবত বিদ্যালয়টি ব্যবহার করে আসছিল। করোনাকালে বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকার সুযোগে আলী হোসেন ও তার ছেলেরা বেড়া দিয়ে দখল করে। সরেজমিনে দেখা যায়, বয়রাগাদী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ঘেঁষে রাস্তার পাশেই একটি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগারসহ পাকা পাম্প কলের পাড় ছিল। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগারটি ভেঙ্গে সেখানে বেড়া দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। পুকুর পাড়ে কিছু অংশে মাটি তুলে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেন্টু মিয়া বলেন, বিদ্যালয় সংলগ্ন ১৩/১৪ বছর পূর্বের একটি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার ও সাথে একটি গভীর নলকূপ পাড়সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে আসছে। তবে করোনাকালে আলী হোসেন ও আলমগীর গং এটা দখল করে নেয়। বর্তমানে এটা একটা ধ্বংসস্তুপ আকারে পড়ে আছে। পুকুর পাড়ে তারা মাটি কেটে অবৈধভাবে ঘর তোলার চেষ্টা করছে। ইতিপূর্বেও তারা গাছের ডাল কাটে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বাধা দিলে তারা তা বন্ধ রাখে। অভিযুক্ত আলমগীর বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা। পুকুরটি আমার দাদা ৭৫ বছর আগে কিনেছে। বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগারটি একটি এনজিও সংস্থা আমাদের থেকে অনুমতি নিয়ে সেখানে নির্মাণ করেছে। কিছু দুষ্কৃতিকারী এটি ভেঙ্গে ফেলেছে। আমরা এটি ভাঙ্গিনি। আমাদের জায়গায় আমরা বেড়া দিয়েছি। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বয়রাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মো. আলাউদ্দিন বলেন, তারা অনৈতিকভাবে বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করছে এটা ঠিক না। আমি ইউএনও স্যারসহ সবাইকে জানিয়েছি। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম জালাল উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। উভয়পক্ষকে কাগজ নিয়ে আসার জন্য বলেছি।
সিরাজদিখানে বিদ্যালয়ের সরকারী পানি সংরক্ষণাগার ও পুকুর দখলের অভিযোগ
আগের পোস্ট