নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মাছচাষি মোঃ সোহেল মাঝিকে মাছের ঘেরে বাঁধ দিতে বাঁধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে হুমকির মুখে মাছচাষ। বর্ষায় প্রায় বিশ লাখ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ খাল বিলে ভেসে যেতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন মৎস্যচাষিরা। বারবার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছেনা বলে জানান তারা। অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সিরাজদিখানের লতব্দী ইউনিয়নের মালিকান্দা গ্রামের মৃত ফুল চাঁন মাঝির ছেলে মোঃ সোহেল মাঝি (৩৫) চন্ডিবর্দি মৌজার ১০৩৫ খতিয়ানের ৮২/৮৩ নং আর এস দাগের ৪২ শতাংশ নিজের পুকুরে হ্যাচারীর পুকুর তৈরী করে এবং আশপাশের জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছচাষ ও রেণু উৎপাদন করছেন। এ পোনার দাম বিশ লাখ টাকা। এসময়ে পুকুরে মাছ রক্ষার্থে বাঁধ দিতে গেলে মাছ ব্যবসায়ী সোহেল মাঝিকে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়।
মাছচাষি ও ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল মাঝি জানান, ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে মৎস্যচাষ করতে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন তাদের মাছের ঘের বা পুকুরে বাঁধ দিতে রোধ করে। অনেক কচুরিপানা, ঝোপ-ঝাড় লেবার দিয়ে পরিষ্কার করে নিজের জায়গা ও অন্যান্যদের জমি ভাড়া নিয়ে মাছচাষে বাঁধার সৃষ্টি করছেন।
তিনি আরও বলেন, খিদিরপুর গ্রামের মৃত জলিল মাদবরের ছেলে চাঁন মিয়া ও সুরুজ কোন কারণ ছাড়াই আমার জমিতে আমার পুকুরের মাছ রক্ষার্থে আমাকে বাঁধা দিচ্ছে। এগুলো যেন দেখার কেউ নেই। বিষয়টি প্রতিকারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ সোহেল মাঝি। পোনা তৈরী ও মাছচাষে হয়রানি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, মাছচাষের জন্য মোঃ সোহেল মাঝিকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। পুকুর রক্ষার্থে তার জমিতে মাটি কেটে বাঁধ দিতে পারে তবে সেই মাটি অন্য কোন জায়গায় যেতে পারবে না।