নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মামলা চলমান সরকারি সম্পত্তি ৩য় পক্ষ এক ইউপি চেয়ারম্যান দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত এক সপ্তাহ আগে তিনি একচালা টিনশেড দোকানঘরের কিছু অংশ তৈরী করেছেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর বাঁধায় কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে বাঁধা উপেক্ষা করে বেশকিছু কাজ করেছেন বলে অনেকে জানিয়েছেন। উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের সিরাজদিখান বাজার সমবায় মার্কেট এর সম্মুখে এ জায়গা ভিপি কেস নং-২৩০/৭৯, তারিখ ৩০-০৩-১৯৭৯ইং। যার এস এ খতিয়ান নং ৮৭ ও আর এস খতিয়ান ৯৯, দাগ নং যথাক্রমে এস এ ১৭৭, ১৭৮, ১৮০, ১৭৫ এবং আর এস ৩১৭ বাড়ি ৫০ শতাংশ। সাথে রয়েছে আর এস ৩১৫ রকম পুকুর ১০ শতাংশ এবং আর এস ৩১৮ দাগে পুকুর ১৩ শতাংশ। উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, ওখানে সরকারি জায়গায় ঘর তুলেছে লতব্দি ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক। ফজলুল হকের দাবী, তার পৌনে ৮ শতাংশ জায়গা ওখানে রয়েছে। তাই সেখানে তিনি দোকানঘর তুলছিলেন। আরেকপক্ষ বাসু বেপারী সেই জায়গা তার পৈতৃক বলে দাবী করে অর্পিত সম্পত্তি ক’ গেজেটের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
এ বিষয়ে বাসু বেপারী জানান, আমার পূর্বপুরুষ বাপ-দাদার সম্পত্তি কিছু ভেস্টেট হয়েছে। ক’ তফসিলভুক্ত হয়েছে ৭৩ শতাংশের মত। আমি আদালতে মামলা করেছি। ১০ বছর ধরে মামলা চলমান আছে। কিছুদিনের মধ্যে রায় চলে আসবে। আমার জায়গা আমি ফেরত পাবো। সেখানে লতব্দি চেয়ারম্যান কোন কাগজ বলে ঘর উঠাচ্ছে আমার বোধগম্য নয়। বর্তমান কাগজপত্রে সরকার মালিক। এসিল্যান্ড অফিসের একশ’ গজ পশ্চিমে এই জায়গাটি অথচ সময়মত প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার খরিদকৃত সম্পত্তিতে ঘর তুলছিলাম, এসিল্যান্ড বাঁধা দেওয়ায় কাজ বন্ধ রেখেছি। আমার কাগজ তার নিকট পাঠিয়েছি। আগামী সোমবার তিনি কাগজ দেখে সিদ্ধান্ত জানাবেন। আমি ১৫ বছর আগে ১০ শতাংশ জমি ৩১৫ আর এস দাগে ক্রয় করেছি খালেক বেপারীর নিকট থেকে। খালেক বেপারী ক্রয় করেছেন নগেন্দ্র মাঝির কাছ থেকে। আমি মাটি ফেলে ১২ বছর আগে ভরাট করি তখন তো কেউ বাঁধা দেয়নাই।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, আমি ঐ সম্পত্তির কাগজ দেখেছি ফজলুল হকের নামজারি, খাজনা বা ডিসিআর আছে বলে জানা নেই। যদি থাকে তাহলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ব্যবস্থা নিবে। আমি মনে করি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা দরকার।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার জানান, ওখানে সরকারি সম্পত্তি রয়েছে। কিছু অংশ লিজ দেওয়া আছে। তাছাড়া একজন অর্পিত সম্পত্তি ওয়ারিশ দাবী করে আদালতে মামলা করেছেন। তাই তাকে (লতব্দি ইউপি চেয়ারম্যান) ঘর তুলতে নিষেধ করেছি এবং কাগজপত্র যাচাই করে যার যে সম্পত্তি সেখানে সে থাকবে। আগামীকাল সোমবার আমি শুনানির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবো।