নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নে মিথ্যা অভিযোগ এনে এক ছাত্রলীগ নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা কাউসার খান। জানা যায়, গত ১৩ জুন পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে সিরাজদিখান থানায় অভিযোগ দেন স্থানীয় সাখী আক্তার (৩৭)। রাতেই আবার তিনি থানায় আপোষনামা দিয়ে মীমাংসা করেন। কিন্তু পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা কাউসারকে না ছেড়ে রাতে থানায় রেখে সকালে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দিয়ে দুপুরে কোর্টে প্রেরণ করেন। এদিকে মামলায় উল্লেখিত ঘটনার সময়ের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা যায়, এরকম কোন ঘটনাই ঘটেনি। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল বলেন, ‘কাউসার থানা গারদে রক্ত দিয়ে ছাত্রলীগ করার অপরাধে জেল খাটতে হচ্ছে বলে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছে তা সারা বাংলাদেশের প্রতিটি ছাত্রলীগ কর্মীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে’। তিনি বলেন, ‘বিনা অপরাধে জেলে যাওয়া আজকাল ছাত্রলীগের খুব পরিচিত একটি চেহারা। সারা বাংলাদেশের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কাউসারের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। অবিলম্বে ষড়যন্ত্রমূলক এই মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
পুরো বিষয়টিকে স্থানীয় রাজনীতির একটি অপকৌশল বলে মনে করেন সিরাজদিখান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটু। তিনি বলেন, ‘কাউসার ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী। সে খুবই চমৎকার সাংগঠনিক ছেলে। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় রাজনৈতিক একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
ছাত্রলীগ নেতা কাউসারের পরিবারের দাবী, আসন্ন সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে কাউসার সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা করার জন্য এলাকায় সকল মহলে প্রচার করে আসছে। এমতাবস্থায় তার উপর ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য একটি কুচক্রী মহল সাখী আক্তারের মিথ্যা অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাখী আক্তার অসুস্থ বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় শ্লীলতাহানির মামলা হয়েছে। আসামীকে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
সিরাজদিখানে মিথ্যা অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা
আগের পোস্ট