নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের কেয়াইন ইউনিয়নের মির্জা কান্দা গ্রামের ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটা ও অন্য ফসলি জমি ভরাটের কাজে বিক্রয়ের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে দেখা যায়, মির্জা কান্দা গ্রামের ফসলি জমিটি ১০-১২ ফুট পর্যন্ত গভীর করে বিশাল জায়গা জুড়ে মাটি কাটার কারণে ভাঙন হুমকির মুখে পড়েছে পার্শ্ববর্তী জমিগুলো। প্রায় দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে অবৈধ পন্থায় রাত-দিন ওই জায়গা থেকে ভেঁকু বসিয়ে মাটি কাটছেন অখিল সরকারের ছেলে তন্ময় সরকার নামে এক ব্যক্তি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তন্ময় সরকার নিমতলা আবাসন হাউজিং কোম্পানির পার্টনার শেখ শহিদুলের ছত্রছায়ায় এই অবৈধ মাটি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের নজর এড়াতে রাতের বেলা মাটি কেটে নিয়ে বিক্রি করেন তিনি। এছাড়াও দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে উপজেলার কেয়াইন ও রাজানগর ইউনিয়নের বেশ কয়েক একর ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রয় করে আসছে জালাল। এলাকাবাসী জানায়, এলাকার তিল, সরিষা ও ধানি জমি থেকে স্কেভেটর ভেঁকু দিয়ে মাটি কেটে পুকুরে পরিণত করেছে। মাটিখেকো চক্রটি প্রভাবশালী ও উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির লোক হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা। এইভাবে যদি আর একবছর এই এলাকার মাটি কাটা হয় তাহলে এলাকায় আর ফসলি জমি থাকবে না। মির্জা কান্দার বাসিন্দা মৃত সেন্টু মিয়ার স্ত্রী আশুদা বেগম জানান, আমি একজন বিধবা মহিলা। এই জমির ফসল দিয়ে আমার সংসার চলে। আমার জমির পাশে তন্ময় সরকারদের যে জমিটির মাটি কাটছে তার পাশের জমিটিই আমার। এ বছর আমার জমির ১৬ শতাংশ জায়গায় তিল বুনেছি। এখন খুব চিন্তায় আছি, ওরা যেভাবে মাটি কাটছে তাতে আমার জমি ভেঙ্গে পড়বে নিশ্চিত। আমি ওদের বারবার নিষেধ করার পরও ওরা এইভাবে মাটি কাটছে। এখন যদি এই মাটি কাটা বন্ধ না করে আমি আমার জমিটা হারাবো।
এ বিষয়ে তন্ময় সরকার বলেন, আমি জমিটা মাছ চাষের জন্য পুকুর করছি। তাই মাটি বিক্রয় করে দিয়েছি। অন্যের জমি ভাঙবে না, আমি পুকুরের পাড় বেঁধে দিব। জমির শ্রেণী পরিবর্তনের অনুমতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই এলাকায় অনেকেই জমি কেটেছে। কেউই অনুমতি নেয়নাই। তাই আমিও অনুমতি আনিনাই। সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ কুমার সরকার বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
সিরাজদিখানে মির্জা কান্দার ফসলি জমি হচ্ছে পুকুর ; মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়
আগের পোস্ট