নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজদিখানে রাস্তায় ভোগান্তি। একটি গাছের জন্য ৭ গ্রামের মানুষের যানবাহনে ৭ কি.মি. ঘুরে চলাচল করতে হয়। কড়ই গাছটি ১৫ বছর আগে উপজেলার বাসাইল বাজারে লাগানো হয়েছিলো। গাছটি বর্তমানে বেশ মোটা হয়েছে। সরকারি রাস্তায় থাকার কারণে বিনা অনুমতিতে কেউ কাটতে পারছেনা। বনবিভাগে এলাকাবাসী লিখিতভাবে জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছেনা। তারা এখনো ভোগান্তিতে রয়েছেন। সতুরচর, পাথরঘাটা, ঘোড়ামারা গ্রাম হতে ইমামগঞ্জ বাজার, বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদ ও বাজার, গুয়াখোলা, রাঙ্গামালিয়া গ্রামে আসতে মানুষকে যেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তেমনি ঐ ৩ গ্রামে যেতে উল্লেখিত ৪ গ্রামের লোকজনকে সেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এসব অঞ্চলে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা এটি। রাস্তাটির কিছু অংশে ইট বিছানো ও কিছু অংশ কাঁচা রয়েছে, ব্রীজও আছে। কিন্তু রাস্তার মধ্যে গাছটি থাকায় মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। এ গাছের কারণে কোন যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেনা। রাস্তা থাকা সত্ত্বেও যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে একদিকে যেমন বেশি ভাড়া গুনতে হয়, অন্যদিকে সময় অপচয় হচ্ছে মানুষের। এলাকাবাসী কয়েক বছর ধরে গাছটি কাটার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েও কোন কাজ হচ্ছেনা। বাসাইল বাজারের দোকান মালিক মো. হায়াতুল ও মো. সুলতান জানান, রাস্তার দুইপাশে আমাদের দুইজনের দোকান। সে বরাবর রাস্তায় পড়েছে গাছটি। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করার সময় আমাদের দোকানে ধাক্কা লাগে। তখন আমাদের দোকান ও বিভিন্ন মালামাল ক্ষতি হয় এবং গাড়িরও ক্ষতি হয়। এ গাছের কারণে আমাদের দোকানের মালামাল আনতে ঘুরে আসতে হয় ভাড়াও বেশি দিতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা আ. লতিফ জানান, এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। অনুমতি পেলে গাছটি কেটে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।