নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে কোলা পোস্ট অফিস সিরাজদিখান-শ্রীনগর সড়ক পর্যন্ত ৫৪২ মিটার রাস্তা সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক নম্বর ইটের পরিবর্তে নিম্ন মানের তিন নম্বর ইট ও ইটের খোয়াসহ নিম্ন মানের বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কোলা পোষ্ট অফিস থেকে কোলা ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে কোলা গ্রামে প্রবেশের প্রধান শাখা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিলো। কোলা গ্রামে প্রবেশের সহজ বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় খানিকটা ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। দীর্ঘদিন বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা রাস্তাটির সংস্কারের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। তবে সংস্কার কাজ শুরু করা হলেও কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। এক নম্বর ইটের পরিবর্তে তিন নম্বর ইট দিয়ে চলছে সংস্কার কাজ এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। জানা যায়, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার (এলজিইডি) প্রকৌশল অধিদপ্তর। এই কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায় এস সরকার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। রাস্তাটির কাজ শুরু করার পর থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ঝড় তোলেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, রাস্তা তৈরিতে এক নম্বর ইট ও ইটের সুরকি ব্যবহার করার কথা থাকলেও তিন নম্বর ইট ও পুরাতন তিন নম্বর ইটের সুরকি দিয়ে করা হচ্ছে রাস্তার কাজ। এছাড়া রাস্তার সুরক্ষা বাঁধ হিসেবে দু’পাশে ব্যবহৃত ইটের কোন নম্বর নেই বললেই চলে। এদিকে সংস্কার কাজে অনিয়মের ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে হুমায়ুন নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সকালে সংস্কার কাজের অনিয়মের তদন্তে যান (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সাব্বির। সেখানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক রন্টু ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সংস্কার কাজে ব্যবহৃত নিম্ন মানের ইট ও ইটের সুরকি অপসারণের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে এর একদিন পর তথা গতকাল শনিবার পুনরায় নিম্ন মানের ইট দিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে দেখা যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনদের। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী শোয়েব বীন আজাদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং সেখানে আমাদের লোক পাঠানো হয়েছে। রাস্তার কাজে নিম্ন মানের ইট ব্যবহারের কোন নিয়ম নেই। অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।