নিজস্ব প্রতিবেদক,২৯ অক্টোবর: সিরাজদিখানে দাপিয়ে বেড়ানো ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিকশার হর্ণে যন্ত্রণাদায়ক শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন লোকজন। এই শব্দ দূষণের হাত থেকে মানুষ রক্ষা পেতে চান। প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ সাধারন মানুষের।
২০১৩ সালে যত্রতত্র গাড়ি পাকিং ও হাইড্রোলিক হর্ণ বন্ধে নির্দেশনা থাকলেও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার হু হু শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সিরাজদিখান উপজেলার হাজারো জনগণ। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকরা শুধু শুধু হর্ণ বাজিয়ে চলছে অহরহ। এতে রাস্তা ঘাটে চলাচল করা মানুষের কান ও মাথা ধরে যাওয়ার মত অবস্থা ঘটে। অটোরিকশার হর্ণ কম বাজানোর জন্য দাবী জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।
উপজেলায় প্রায় ছয় শতাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা রয়েছে। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সিরাজদিখান বাজার, উপজেলা মোড়, নিমতলা, ইছাপুরা চৌরাস্তা, মালখানগর চৌরাস্তা, তালতলা বাজার, বালুচর বাজার এই রাস্তাগুলোতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় মোটর সাইকেলের মত হর্ণ লাগিয়ে চলছে। এর ফলে রাস্তায় বিকট শব্দ হচ্ছে। চালকরা শুধু শুধু ইচ্ছে করেই বেশি বেশি হর্ণ বাজিয়ে চলছে। এতে একদিকে হর্ণের শব্দে যাত্রী ও সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে এলাকায় শব্দ দূষণ বেড়েই চলছে।
সিরাজদিখান বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চালকেরা এত জোরে হর্ণ চেপে ধরে অটোরিকশা চালায় যেন গাড়ী চালাচ্ছে। তাদের অনুরোধ করে কোন লাভ হয়না। অটোরিকশার যন্ত্রণায় আর পারি না কারণ ওরা এত হর্ণ বাজায়। কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার মত। সরকার এত আইন করে, এই হর্ণ এর জন্য কেন আইন করে না অটোরিকশাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার। সরকারের কাছে আমাদের দাবি আইন করে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।
অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন জাহাঙ্গীর মিয়া। তিনি জানান, অটোরিকশার গতি বেশি এজন্য হর্ণ বাজাতে হয়। হর্ণে শব্দ দূষণ বেশি হয় তা জেনেও চালানোর সুবিধার্থে রিকশায় হর্ণ বাজাতে হয়।
অটোরিকশা চালক ফজলু মিয়া বলেন, বেলের শব্দে মানুষ সরে না। এজন্যই হর্ণ বাজাইতে হয়। বেশি শব্দে ক্ষতি বেশি জানি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশফিকুন নাহার বলেন, অটোরিকশাগুলোর বিধিমালা না থাকার কারণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কিভাবে স্বাভাবিক রাখা যায়।
সিরাজদিখানে রিকশার হর্ণে অতিষ্ঠ জনগণ
আগের পোস্ট