নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গরুর হাট বসানোর প্রস্তুতি এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল শুক্রবার থেকে উপজেলার ৮টি স্থানে গরুর হাট বসবে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খামারিরা সেসব হাটে তাদের গরু বিক্রি করতে হাটে নিয়ে তুলবেন। প্রতি বছর হাটে ক্রেতাদের কাছে দেশীয় গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশী লক্ষ্য করা যায়। এ বছর তার ব্যতিক্রম নয়। ক্রেতাদের কাছে দেশীয় গরুর চাহিদা মেটাতে শুভ্র এন্ড সুমায়াতা এগ্রো ফার্ম সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে প্রস্তুত করেছে রঙ বেরঙের ৩২টি গরু। আগামীকাল শুক্রবার থেকে সেসব গরু বিক্রির জন্য উপজেলার কুচিয়ামোড়া বাজার ব্রীজের নিচের স্থায়ী হাট সংলগ্ন স্থানে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে। এরমধ্যে সবকয়টি গরুই দেশীয় শাহিয়াল জাতের। সেখানে বিভিন্ন সাইজের এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা থেকে পৌনে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দামের গরু রয়েছে। ৩২টি গরুর মধ্যে ইতোমধ্যে দুটি গরু বিক্রিও করেছেন তারা। দেশীয় জাতের গরু ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন শুভ্র এন্ড সুমায়াতা এগ্রো ফার্মের স্বত্ত্বাধিকারী মঈনুল হাসান নাহিদ। তিনি বলেন, এখানে সবগুলোই দেশীয় শাহিয়াল জাতের। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে গরুগুলো কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে পৌনে ৩ লক্ষ টাকা দামের গরু রয়েছে। পৌনে ৩ লক্ষ টাকার গরুর মাংস হবে আনুমানিক ৯ মণ এবং ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দামের গরুর মাংস হবে প্রায় চার মণ। আমি আশা রাখি, ক্রেতাদের কাছে আমার খামারের গরু দেশীয় গরুর চাহিদা মেটাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।