নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বীদের প্রায় ৫’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা ভাইরাসে দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রতিরোধে বিধি-নিষেধ থাকার কারণে দোকানপাট সীমিত হওয়ায় ক্রেতা কম। বিক্রিও ভালো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অল্প দোকানগুলোতেও বিক্রেতাদের চোখেমুখে হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত কালী দেবীর উপাসনার মধ্য দিয়ে উপজেলার শেখরনগর ঋষিপাড়া প্রতিষ্ঠিত কালী মন্দিরে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আর এসময় পাপ মোচন ও পুণ্য লাভের আশার হাজার হাজার ভক্তের ভীড় জমে মন্দির প্রাঙ্গণে। শ্রী শ্রী কালী দেবীর পূজা প্রতিবছর চৈত্র মাসের শনিবার বা মঙ্গলবার স্বপ্নে আদেশকৃত তিথি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ বছর গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পূজা উপলক্ষে ১ দিন ব্যাপী মেলা বসে মন্দিরের চারপাশে। মেলা চলে গতকাল মঙ্গলবার সারা রাত পর্যন্ত। পূজা উপলক্ষে মেলাতে তেমন বেশী দোকান দেখা যায়নি। কমসংখ্যক মানুষকে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। তবে আগতদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দেশীয় পণ্যের। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই ছিল আশপাশের এলাকার বাসিন্দা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সন্ধ্যার পর লোকসমাগম কিছুটা বাড়লেও বিক্রি তেমন হয়নি। যেখানে আসবাবপত্র, পিঠা-নিমকিসহ বিভিন্ন খাবার দোকান ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলনার দোকান থাকতো এবার তা দেখা মেলেনি। পূজা কমিটির সদস্য সুকুমার দাস জানান, প্রতিবছর পূজাকে কেন্দ্র করে পূজার আগের দিন থেকে পরদিন পর্যন্ত এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। শেখরনগর রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের ও শেখরনগর গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ জুড়ে চলে মেলার আয়োজন। এবার করোনার কারণে সরকার শুধু পূজা করার অনুমতি দিয়েছেন মেলার অনুমতি দেননি। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, একদিনের পূজাকে কেন্দ্র করে এ এলাকায় তিনদিন মানুষের ঢল নামে যা সামলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হতো। এবার মেলা না হওয়ায় দোকানপাট কম বসেছে। লোকজন কম তাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পূজা উপলক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ ও
গোয়েন্দা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
সিরাজদিখানে শেখরনগর ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা অনুষ্ঠিত
আগের পোস্ট