নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে শাসনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী সুজন হাওলাদার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সুজন হাওলাদার উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের শাসনগাঁও গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
গতকাল বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পুরান ভবন সংলগ্ন একটি জায়গার কিছু অংশ গাছ কেটে খুঁটি গেরে টিনের বেড়া দিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য দুটি বাথরুম ও একটি টিউবয়েলও রয়েছে। সেই জায়গা থেকে একটি বড় আকারের গাছ কাটা হয়েছে। কাটা গাছের গুঁড়িগুলো সামনের রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সিরাজদিখান উপজেলার ১২০নং শাসনগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি (প্রতিষ্ঠাকালীন) পুরাতন ভবন যা দীর্ঘদিন যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ভবনের পূর্ব পাশে একটি গণশিক্ষালয়, একটি বাথরুম ও একটি টিউবওয়েল বিদ্যমান আছে। যা ৭৩ শাসনগাঁও মৌজার ৬৭/৪৬/৪৯/৮/৫১/৪/৫৩/৩ ও ৩৫৮নং খতিয়ানের মোট ৩৬.৫০ শতাংশ জমির মধ্যে অবস্থিত। অবৈধ দখলদাররা উক্ত জায়গাটি টিনের বেড়ার মাধ্যমে দখল করে ভবন নির্মাণ করার পায়তারা করছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপর্ণা সরকার বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ১৯৯৫ সালে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে নতুন ভবন নির্মাণের কারণে আগের ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এই সুযোগে সুজন আমাদের বিদ্যালয়ের জায়গাটিতে বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা করছে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে সে এই জায়গাটি তাদের নিজের বলে দাবি করে। পরবর্তীতে বিষয়টি আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
অভিযুক্ত মোঃ সুজন হাওলাদার বলেন, আমার জায়গা আমি বেড়া দিয়েছি। যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা রাজাকার।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ বেলায়েত হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি ও প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জমি মাপার জন্য আবেদন দিয়েছি। অফিসার সার্ভেয়ার জমিটি মাপতে যাবে। মাপার পর আমাদের জায়গা দেখে আমরা ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল আলম তানভীর বলেন, বিষয়টা আমি জানতে পেরে চেয়ারম্যানকে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। পরবর্তীতে মাপঝোকের মাধ্যমে জায়গা নির্দিষ্ট হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।