নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মাদরাসার নামে সরকারী বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তি জবর দখল করে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদী (ইসলামবাগ) গ্রামে অবস্থিত জামিয়া আবু বকর (রাঃ) মাদরাসা (ইসলামবাগ) মাদরাসার নামে বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তি রামকৃষ্ণদী গ্রামের জজ মিয়া ও খাসকান্দি গ্রামের কোরবান আলী নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দখল করে বিক্রির অভিযোগ তোলেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলী। তিনি বলেন, মাদরাসার নামে কিছু জমি সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেওয়া, কিছু রেকর্ডীয় জমি, কিছু জমি মানুষের দান করা এবং কিছু জমি মাদরাসার নামে খরিদ করে নেওয়া। বন্দোবস্তকৃত জমিসহ অন্যান্য জমি মিলিয়ে মাদরাসার নামে সর্বমোট ২০ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে জনগণের কল্যাণে মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, ঈদগাহ, হাসপাতাল, দাওয়া সেন্টার, কারিগরি প্রশিক্ষণাগার, ইসলামী কিন্ডার গার্টেন নির্মাণের জন্য জমিও রয়েছে। জনগণের কল্যাণের জন্য দাঁড় করানো মাদরাসার সম্পত্তির সরকারী বন্দোবস্তকৃত মাদরাসার পুকুর সংলগ্ন জমি কোরবান আলী ও জজ মিয়া দখল করে সাইফুল চেয়ারম্যানের ছেলের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। সকালে চেয়ারম্যানের ছেলে ওই জমিতে ভেঁকু বসিয়ে মাটি কাটা শুরু করলে আমরা বাধা দেই। বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। মাদরাসার সম্পত্তি রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল বলেন, মাদরাসার জমি রেখে যেটুকু জমি বাকী থাকে তাদের কাছ থেকে ততটুকুই কিনবো। যদি তারা মাদরাসার জমি বুঝিয়ে না দেয় তাহলে মাদরাসার স্বার্থে যেকোন পদক্ষেপ নিতে আমি প্রস্তুত। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জজ মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জমি বিক্রির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হ্যা জমি বিক্রি করেছি। এ সম্পত্তি আমরা বহু আগে থেকেই ভোগ দখলে আছি। মাদরাসার নামে সরকার থেকে নেওয়া বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তির মালিকানা নিজ নামে দাবী করে বিক্রির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন জবাব দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম আক্তার জানান, যাদের নামে কাগজপত্র আছে তাদেরকে কাগজপত্রসহ আমার কাছে আসতে বলেন। আমি বিষয়টি দেখবো।
সিরাজদিখানে সরকারী বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তি দখল করে বিক্রির অভিযোগ
আগের পোস্ট