নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বিচার সালিশকে অমান্য করে সালিশে আসা লোকজনের উপর হামলা করেন হিমেল গ্রুপ। গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্বশিয়ালদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নে পূর্বশিয়ালদী এলাকায় বিচার সালিশকে অমান্য করে সালিশে আসা লোকজনের উপর হামলায় গুরুতর হয়েছে একজন। গত মঙ্গলবার রাতে মোঃ মুন্নাদের বাড়িতে বিচার সালিশে বসলে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্বশিয়ালদী এলাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া ছবিতে রিয়েক্টকে কেন্দ্র করে মোঃ আলমগীর হোসেনের ছেলে মোঃ রিফাত (২০) এর সাথে মোঃ রনির ছেলে মোঃ হিমেল (২২) এর বিরোধের সৃষ্টি হয়। যার নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে উভয়পক্ষকে ডেকে মীমাংসার জন্য সালিশ বসে। সালিশ চলাকালীন সময় সালিশ না মেনে উঠে গিয়ে উপস্থিত সকলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন হিমেল। এমতাবস্থায় তার কার্যকলাপে উপস্থিত সকলে ক্ষীপ্ত হয়ে হিমেলকে ধমক দিলে হিমেলের নানা মোঃ ইদ্রিস বেপারী চড়াও হয়ে মোঃ রিফাতকে চর-থাপ্পর মারতে শুরু করেন। নানা ইদ্রিস বেপারীকে দেখে হিমেলও সালিশে উপস্থিত ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে মারধর শুরু করেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ মোস্তাক মৃধা বলেন, কিছুদিন যাবত মোঃ রিফাত ও মোঃ হিমেলের সাথে ফেসবুকে দেওয়া রিয়েক্টকে কেন্দ্র করে একটা বিরোধ চলে আসছে যা নিষ্পত্তি করার জন্য গত মঙ্গলবার বসা হয়েছিলো। সালিশ শেষপর্যায় চলে আসছে হিমেল সালিশকে না মেনে উঠে চলে গিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলতে শুরু করেন। একপর্যায়ে হিমেলের নানা মোঃ ইদ্রিস বেপারী চড়াও হয়ে রিফাতকে মারধর শুরু করেন।
এ বিষয়ে মোঃ ইদ্রিস বলেন, আমি ও আমার নাতি সমাজের সহজ-সরল মানুষ এজন্য সকলে মিলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছে। আমার নাতির মানসিক সমস্যা রয়েছে যার জন্য সবাই তার সরলতার সুযোগ নিচ্ছে।