নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে ধলেশ^রী নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া বিদ্যুৎ মাঝির (৩৭) মৃতদেহ ১৫ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজদিখান উপজেলার পূর্ব চান্দের চর গ্রামে ধলেশ্বরী নদীতে। মাদরাসা নদী ঘাট বরাবর নোঙর করা ড্রেজারের পাশ থেকেই মৃতদেহটি উদ্ধার হয়। গত রবিবার রাত আটটার দিকে নিখোঁজ হওয়ার পর গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন। বিদ্যুৎ গত রবিবার বিকালে শ্বশুরবাড়ি রামকৃষ্ণদী থেকে চান্দেরচর ঘুরতে যান শ্যালক মামুনকে সাথে নিয়ে। ফেরার পথে রাত ৮টার দিকে ধলেশ্বরী নদীতে খেয়া পারাপারের সময় বাল্কহেডের ধাক্কায় নিখোঁজ হন তিনি। সে শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের হাঁসাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজউদ্দিন মাঝির ছেলে। এ ঘটনায় বিদ্যুতের সাথে থাকা তার শ্যালক লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদী গ্রামের আওলাদ শেখের ছেলে মোঃ মামুন শেখ আহত হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ মাঝির স্বজনরা জানান, তার সাথে থাকা মামুন শেখ নৌকা করে বালুচর ইউনিয়নের পূর্ব চান্দেরচর গ্রামে ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন। খাসকান্দি মাদরাসা বরাবর ধলেশ্বরী নদীর ঘাট দিয়ে রামকৃষ্ণদী যাওয়ার জন্য নৌকা দিয়ে পার হচ্ছিলেন। সেসময় একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকা ডুবে গেলে নৌকার মাঝিসহ মামুন তীরে উঠতে পারলেও বিদ্যুৎ সাঁতার না জানার কারণে তীরে উঠতে পারেনি। এই ঘটনায় গত রবিবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সিরাজদিখান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম ও শ্রীনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণব কুমার ঘোষসহ সিরাজদিখান এবং শ্রীনগর থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।
সিরাজদিখান থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান জানান, বিষয়টি তদন্ত করছে নৌ পুলিশ। লাশ এখনো ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়নি। বাল্কহেডটি ট্রেস করা যায়নি। পরিবারের কেউ অভিযোগ করলে মামলা হবে। মাওয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠিয়েছি। সিজার লিস্ট করা হলে সিরাজদিখান থানা ব্যবস্থা নিবে।