নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান পরিবহনের এমডি আব্দুল খালেক শিকদারকে চাঁদাবাজি মামলায় ঢাকায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার পুলিশ তাকে গেল ২৬ মে রাত দুইটার দিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পরেরদিন অর্থাৎ ২৭ মে তাকে ঢাকা মহানগর চীফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বর্তমানে তিনি এখন জেল হাজতে রয়েছেন। চাঁদাবাজির মামলায় সে এখনো জামিন পাননি বলে খবর পাওয়া গেছে। আব্দুল খালেক শিকদার সিরাজদিখান-ঢাকা সড়কে পরিবহন সেক্টরে দীর্ঘবছর ধরে বাসমালিক ও শ্রমিকদেরকে জিম্মি করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বাসমালিক ও শ্রমিকরা। আব্দুল খালেক শিকদারের গ্রেফতারের ঘটনায় এ পথের বাসমালিকরা এখন মহা খুশি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, এ সড়ক পথের প্রতিটি বাস থেকে ১ হাজার ১৩৫ টাকা করে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করতেন আব্দুল খালেক শিকদার। বাংলাদেশ সড়ক আইন অনুযায়ী বাসমালিক সমিতির নামে চাঁদার বিধান হচ্ছে ৩০০ টাকা করে আদায় করার কথা। কিন্তু এখানে এটি কোনভাবেই মানা হতো না বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ পথের কোম্পানির ব্যানারের একটি বাস একজন মালিক কিনে নেন। সেই নতুন মালিকের কাছে আব্দুল খালেক শিকদার চাঁদা বাবদ ২ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু সেই মালিক প্রাথমিকভাবে আব্দুল খালেক শিকদারকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেন বলে জানা গেছে। বাকি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা না দেয়ার কারণে আব্দুল খালেক শিকদার সেই মালিকের বাস চলাচল এ সড়কে বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় নতুন বাসমালিক ক্ষুব্ধ হয়ে পরে যাত্রাবাড়ি থানায় আব্দুল খালেক শিকদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। আর তাতেই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
সিরাজদিখান পরিবহনের এমডি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার
আগের পোস্ট