নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ রোববার সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপের শুরুতে বলেন, আগামীকালই জাতীয় সনদের খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। এরপর সনদে স্বাক্ষর করতে দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আরও যোগ করে বলেন, আমরা খসড়া নিয়ে এখানে কোনো আলোচনা করবো না। যদি বড় ধরনের কোনো মৌলিক আপত্তি ওঠে তাহলে আমরা সেটা ফ্লোরে আনবো, না হলে আনবো না। আলাদাভাবে যদি আপনারা কোনো মতামত দেন, সেগুলো সংযোজন করেই চূড়ান্ত সনদ হবে। সেখানে পটভূমি থাকবে, প্রক্রিয়া থাকবে এবং কমিটমেন্টের জায়গাগুলো থাকবে। কিন্তু এখন প্রাথমিক পর্যায়ে যেগুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোর তালিকা এখনই দেওয়া হচ্ছে না।
আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে আগামী তিন দিনের মধ্যেই আলোচনা শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ঐকমত্য কমিশনের। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ এবং পুলিশ কমিশন এই তিনটি বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনার মূল ফোকাস নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে।
২০টি আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ইতোমধ্যে ১০টি বিষয়ে দলগুলো একমত হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটিতে নোট অব ডিসেন্টও রয়েছে। সাতটি বিষয়ে এখনো ঐকমত্য হয়নি এবং বাকি তিনটি বিষয়ে আজ আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হবে। আজকের সংলাপ রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যেকোনো মূল্যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মৌলিক সংস্কারের বিষয়গুলোতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষ করতে চায় ঐকমত্য কমিশন। আমরা একটি পুলিশ কমিশনের প্রস্তাব করেছি। ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে ১৬৬টা সুপারিশ আপনাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেগুলোতে পুলিশ কমিশনের ব্যাপারে সুপারিশ ছিল না। আমরা এখন একটি সংযুক্ত করছি সময়ক্ষেপণের জন্য নয়। এই আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে নাগরিকদের পক্ষ থেকে নানা জায়গা থেকে শুনেছি, যে পুলিশ কমিশনের বিষয়ে কেন আলোচনা হচ্ছে না। গত ১৬ বছরে পুলিশের ভূমিকার কারণেই এই প্রশ্নটা খুব বৈধভাবে উৎপন্ন হয়েছে। তাই এটি সংযুক্ত করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস আমরা, সবকিছু নিয়ে একটি ঐকমত্য তৈরি করতে পারবো-যোগ করেন আলী রীয়াজ।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আজকের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- পুলিশ কমিশন, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ।