নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র হজ পালনের জন্য এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৬০৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে সোমবার রাত ২টায় প্রকাশিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনে জানানো হয়, সোমবার সকালে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্রথম পর্বের শেষ ফ্লাইট জেদ্দায় কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সৌদি আরবে নিযুক্ত জেদ্দাস্থ মৌসুমি হজ অফিসার মোহাম্মদ মাহবুব আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।
বুলেটিনে হজযাত্রার সর্বশেষ অবস্থায় বলা হয়, এ পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছানো সর্বমোট হজযাত্রীর সংখ্যা নয় হাজার ৬০৬। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী তিন হাজার ৩৮৩ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ছয় হাজার ২২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ২৪টি, যার মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৪টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ছয়টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের চারটি।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত ভিসা ইস্যু করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৯২ শতাংশ হজযাত্রীর। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৮৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ। গত ৫ জুন প্রথম হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়। শেষ ফিরতি ফ্লাইট ৪ আগস্ট।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। করোনা মহামারির কারণে গেল দুই বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে অংশ নিতে পারেননি। এবার সারা বিশ্ব থেকে ১০ লাখ মুসল্লি হজে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। হজযাত্রীর এই সংখ্যা কোটা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এবার নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে সৌদি আরব সরকার ঘোষণা করে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথা। তবে কমিয়ে দেওয়া হয় হজযাত্রীর কোটা। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও আগে প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাংলাদেশ থেকে হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতেন। এবছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজে অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে না সৌদি সরকার।