নিজস্ব প্রতিবেদক
দখিনা বাতাসে মন ছুঁয়ে যাওয়া সড়ক। নীল আসমানে থোকায় থোকায় উড়ছে সাদা মেঘের ভেলা। হঠাৎ এই আবহ দেখলে মনে হবে প্রকৃতি যেন গায়ে হলুদের সাজে। চাঁদরাতে সড়কের দিকে তাকালে বোঝা যায় ওইপাশটা যেতে যেতে স্বর্গে গেছে মিলে। বলছিলাম মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নে অবস্থিত নিমতলী গ্রামের কথা। উপজেলার ছোট্ট একটি গ্রামের নাম নিমতলী। পাশেই রয়েছে সিরাজদিখান উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন কেয়াইন, বাসাইল, রশুনিয়া, কোলা। শস্য-শ্যামলে ভরপুর এক অঞ্চল। স্থানীয়রা প্রতিদিন বিকেলে সড়কে ঘুরে বেড়ায়। নতুন রঙে পাতা আসে, পাখিরা গায় গান। শব্দদূষণের মতো বিন্দুমাত্র কোনো সমস্যাই নেই এখানে। সন্ধ্যার পর নিশ্চুপ সব। কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে আসে শীত। যেন সুন্দর মিষ্টি একটি সকাল। মৌমাছিরা আসে ফুলে ফুলে লিচু আমের ঘ্রাণে। সৌন্দর্য্যরে প্রতীক এই ছোট্ট গ্রাম। এখানকার সম্পূর্ণ ভূমিই সমতল। বসতবাড়ি ও তার চারদিকে ফলজ গাছপালা। ছোট-বড় বিভিন্ন বাাঁশঝাড় সবটা ঘিরে। আলু অনেক কৃষকদের আয়ের মূল উৎস। তাদের জীবনযাপন নির্ভর এই আলু চাষে। শিক্ষার দিক থেকেও অনেক এগিয়ে স্থানীয় যুবকরা। যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকেও নিমতলী কিছুটা উন্নত। বেশিরভাগ পঞ্চায়েতের রাস্তা প্রধান সড়কের সঙ্গে যুক্ত। এখানকার প্রতিটি রাস্তাই সিরাজদিখান উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের সাথে সংযুক্ত। তাই আশেপাশের এলাকাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সুন্দর। শিক্ষার্থী, কৃষক ও কর্মজীবী মানুষ প্রতিদিন এই গ্রামে চলাচল করেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করার জন্য বিভিন্ন অটো ও ভ্যানসেবা চালু আছে গ্রামের এপাশ থেকে ওপাশে। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাছাড়া উৎপন্ন শস্যের মধ্যে আলু, ধান, পাট, সরিষা ইত্যাদি প্রধান। জমি দারুণ উর্বর হওয়ায় বিশেষ কোনো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয় না। এখানকার মানুষ খুবই পরিশ্রমী, তাই নদীর পাশের জমিগুলো কখনো ফেলে রাখা হয় না। গ্রামের বাসিন্দা হাজী নূর-ইসলাম লস্কর বলেন, ‘আমাদের গ্রামের সৌন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে তরুণরা এসে স্থানীয়দের সঙ্গে বিকেলে সড়কে হাঁটে। চাইলে যে কেউ আসতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্র।