নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের মামাসার গ্রামের রাজ্জাক মালের ছেলে মোশারফ মাল এর পরিবার তার স্ত্রী সালেহা এবং সালেহার দুই সন্তান। এই পরিবারের সদস্যদের কাছে নির্মম অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে সালেহা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। এলাকাবাসী এবং গ্রামের মেম্বার চেয়ারম্যানও সুষ্ঠু বিচার করতে পারেনি এই মোশারফ মাল এর পরিবারের সাথে। সালেহা এবং সালেহার দুই সন্তান রেখে মোশারফ মাল দ্বিতীয় বিয়ে করে। সালেহার দুই সন্তান প্রথম জনের বয়স ১৪ দ্বিতীয় জনের ৮ বছর। মোশারফ সালেহা এবং তার দুই সন্তান রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে সালেহাকে না জানিয়ে। মোশারফ মাল দ্বিতীয় বিয়ে করার পরপরই সালেহাকে মারধর থেকে শুরু করে যত রকম অত্যাচার অন্যায় অবিচার করে। মোশারফ মালের পরিবার সালেহার সাথে এই নিয়ে অনেক কিছু হয়। অবশেষে সালেহা কোন উপায় না পেয়ে গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যা সাতটার পরে ফাঁসি দেয়। তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে বাড়ির লোক উদ্ধার করে। এখন সালেহার পাশে দাঁড়াবার মতো কেউই নেই। সালেহা মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে কোন বিচার পায়নি। প্রশাসন এবং গণমাধ্যমের কাছে এখন সালেহা সুষ্ঠু এবং সঠিক বিচার চায়। এই বিচারের মাধ্যমে যাতে সালেহার সংসার এবং সালেহার স্বামী মোশারফ মাল তার কাছে ফেরত আসে। সালেহা বিয়ের পর থেকেই অবহেলিত মোশরফের পরিবারের কাছে। যৌতুকের টাকার জন্য কখনো মারধর যখন যেভাবে পারে তখনই চলে। মুন্সীগঞ্জ জেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের মামাসার গ্রামবাসী রাজ্জাক মাল এবং তার ছেলে মোশারফ মালের পরিবারের সাথে কেউই মোকাবেলা করে এই পর্যন্ত পারেনি। মোশারফ মালের পরিবারের সদস্যরা সবাই সালেহার সাথে খারাপ আচরণ করে। মারধর, গালিগালাজ সর্বদাই চালিয়ে যাচ্ছে। সালেহার পাশে কেউ দাঁড়ালে মোশারফ মালের ভাই তানজিল মাল তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয় দেখায়। এ কারণে সালেহার পাশে দাঁড়াবার মতো কেউ নেই। সালেহা এবং তার দুই সন্তান নিরুপায়। এখন সালেহা মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার স্বামী যাতে তাকে এবং তার দুই সন্তানকে পুনরায় যেন আগের মত মেনে নেয়। এখন মোশারফ মাল দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে পলাতক। এই পলাতকের সাথে জড়িত মোশারফ মালের পরিবার-পরিজন। সালেহা এবং তার দুই সন্তান বিচার চায়।