নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রভাব মুক্ত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। কর্মস্থল, গণপরিবহন, বাজার-ঘাট সর্বত্রই কঠোর শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। সচেতন ও সতর্ক হয়ে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, ভয়াবহ মহামারী করোনা ভাইরাসে প্রতি মুহুর্তেই সংক্রমণ এবং সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিমাত্রার এই সংক্রমণ ঝুঁকি মাথায় নিয়েই বিশে^র দেশে দেশে মানুষকে জীবিকার জন্য দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। দীর্ঘ লকডাউন বা সাধারণ ছুটি শেষে কর্মমুখী মানুষের বহিরাগমন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগী হওয়া। করোনা ভাইরাসের কোনো পরীক্ষিত চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও অনুমোদিত না হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মধ্য দিয়েই জীবনযাপন করতে হবে।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সারাদেশে মোট ৩৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা প্রদানের আওতায় আনা হচ্ছে। ত্বরিতগতিতে ২ হাজার ডাক্তার ও ৫ হাজার ৫৪ জন নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে ৮১ লাখ ১০ হাজার ৩০৩টি পরিবার তথা ৩ কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার ৮৫৮ জন মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫০ জনকে শিশু খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে ব্যাপক কর্মোদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সারাদেশে আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী নিজস্ব উদ্যোগে দুরবস্থাগ্রস্ত মানুষকে খাদ্য সহায়তা ও স্বাস্থ্য সামগ্রী প্রদান করে আসছে। কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া, ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, টেলিমেডিসিন সেবাসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।